এমএহামিদ ব্যবস্থাপনা পরিচালক হৃদয়ে চট্টগ্রামঃ
দক্ষিণ চট্টগ্রামের উপশহর দোহাজারী পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের খন্দকার বাড়ির সামশুল আলম মাষ্টার স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরিয়ে গেলেও বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম লেখাতে পারেননি
মুক্তিযুদ্ধ কালীন সময়ে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষক ছিলেন।
তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে দোহাজারী মায়ারাম দিঘীর পাড়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষক ছিলেন এবং তৎকালীন আনসার বাহিনীর কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন। এর পর তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন।
হাজারো চেষ্টা করো বেঁচে থাকাকালীন সময়ে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি মিলেনি। এই দুঃখ নিয়ে তিনি গত ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৯৮ সালে মৃত্যু বরণ করেন।
যুদ্ধকালীন সময়ে কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের খান খসরু এবং বর্তমান চন্দনাইশ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার জনাব জাফর আলী হিরু সহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষন নেন। যা চন্দনাইশ উপজেলা মুক্তি যোদ্ধা কমান্ডার জনাব জাফর আলী হিরুর বক্তব্যে বলেন।
সামশুল আলম মাষ্টারের সন্তান মাষ্টার কায়ছার উদ্দিন বলেন, আমার পিতা অনেক কষ্টে পেয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন।
তিনি দেশের লাল সবুজের পতাকার জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য ১৯৭১ সনে জীবন বাজী রেখে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধের বিভিন্ন রকমের প্রশিক্ষন প্রদান করেন। যারা প্রশিক্ষন নিয়েছে আজ তাঁরা বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু আমার পিতার স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও স্বীকৃতি মিলেনি।
আমরা চাই আমার পিতাকে বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে আমার মরহুম পিতার আত্মার শান্তি দেওয়ার জন্য।