লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নে সরকারি রাস্তায় দেয়াল নির্মাণে বাধা দেয়ায় এক গ্রাম পুলিশকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ মনজু বড়ুয়া (৫০) থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
মনজু বড়ুয়া লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, ইউনিয়নের রোস্তমের পাড়ার মৃত নুরুল কবিরের ছেলে মো. জাহেদুল ইসলাম (৩৫), মোহাম্মদ মামুন (২৫) এবং মোহাম্মদ আইয়ুব (৫০) তাদের বাড়ির সামনে সর্বসাধারণের চলাচলের সরকারি রাস্তার একাংশ বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করে দখলে নেয়। এমতাবস্থায় স্থানীয় লোকজন চেয়ারম্যানকে অভিযোগ করলে গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে কাজ না করার জন্য বাঁধা দেয় এবং পরিমাপের প্রেক্ষিতে বাউন্ডারি নির্মাণ করার জন্য বলেন। পরবর্তীতে সার্ভেয়ারদ্বারা পরিমাপ করে বিবাদীদেরকে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করার জন্য চিহ্নিত করে দেওয়া হয়। কিন্তু বিবাদীগণ স্থানীয় চেয়ারম্যানের পরিমাপ উপেক্ষা করে তাদের বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ কাজ করতে থাকেন। ২৮ ডিসেম্বর বিকেল ৫টায় চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমি, দফাদার নুরুল আবসার, গ্রাম পুলিশ কায়সার এবং এলাকার কয়েকজনসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিবাদীগণের কাজে বাঁধা প্রদান করি। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি লাথি মারতে থাকেন। তখন আমার সাথে থাকা অন্যদেরকে মারধর করার জন্য ধাওয়া করে। এসময় আমাদের উচ্চস্বরশুনে ঘটনাস্থলের আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীগণ আমাদের ও স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এবং বলেন এই বিষয় নিয়ে তাদের সাথে চেয়ারম্যান বা আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের কেউ কোন ধরনের কথা বা আইনের আশ্রয় নিলে আমাদেরকে রাস্তাঘাটে একা পেলে মারধর করে মেরে লাশগুম করে ফেলবে এমন প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন। বর্তমানেও তাদের হুমকি-ধমকি অব্যাহত আছে। তাদের ভয়ে আমরা আতঙ্কে আছি এবং জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি।
গ্রাম পুলিশকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্তরা বলেন, গ্রাম পুলিশের সাথে সামান্য তর্কাতর্কি হয়েছে। হাতাহাতি হয়নি। তারা আরো বলেন তাদের খতিয়ানভুক্ত জায়গা থেকে রাস্তার জন্য ৩ফুট জায়গা রেখে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করছেন। তবুও যদি পরিমাপ করে পরবর্তীতে ভেঙে ফেলতে হলে ভেঙে ফেলবেন তারা।
আধুনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাজিম উদ্দীন বলেন, আইন অমান্য করে সরকারি জায়গায় বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করার সময় পরিষদের পক্ষ থেকে নিষেধ করতে গিয়ে গ্রাম পুলিশকে লাঞ্ছিত হয়েছে। যারা এমন জঘন্য কাজ করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।