রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল -|- ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

চন্দনাইশে মেয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ফেরার পথে লাশ হলেন বাবা, নাতিন আহত

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

চন্দনাইশ প্রতিনিধিঃচট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চট্টগ্রামের চন্দনাইশে মেয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি যাত্রীবাহী বাস চাপায় এয়াকুব নবী (৫৬) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন নিহত এয়াকুব নবীর কোলে থাকা নাতিন কাইফা (৪) নামে আরও একজন। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চন্দনাইশ উপজেলার গাছবাড়িয়া কলঘর এলাকায় এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত এয়াকুব নবী চন্দনাইশ উপজেলার ধোপাছড়ি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড শংকরকূল এলাকার মৃত আহমদ নবীর ছেলে। অন্যদিকে আহত কাইফা একই এলাকার সিরাজুল ইসলামের মেয়ে। সম্পর্কে তারা দাদা আর নাতিন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার সকালে নিহত এয়াকুব নবী তার বড় মেয়ের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে আসছিলেন। এ সময় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চন্দনাইশ উপজেলার গাছবাড়িয়া কলঘর এলাকায় তিনি তার কোলে থাকা নাতিন কাইফা রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি যাত্রীবাহী শাহআমিন বাস (গাড়ি নং- চট্টগ্রাম জ ১১-০০৬৯) তাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই এয়াকুব নবী মারা যান। তাঁর কোলে থাকা নাতিন কাইফা গাড়ির ধাক্কায় ছিটকে পড়ে যায়। পরে তাকে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে স্থানীয় বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন।

দোহাজারী হাইওয়ে থানার ওসি খান মোহাম্মদ এরফান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ শুনে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বাসায় ধাক্কায় এয়াকুব নবী নামে একজন নিহত হয়েছেন ও কাইফা নামে আরেকজন আহত হয়েছেন স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বিজিসি ট্রাষ্ট মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার ও গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। ঘাতক বাসের চালক পলাতক রয়েছে। নিহত পরিবারের পক্ষে মামলা দায়ের করা হয়েছে ঘাতক চালকের বিরুদ্ধে। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারে কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।