রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল -|- ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

শেষ হয়েও শেষ হলো না চকরিয়া পৌরশহরের যানজট: চলছে রমরমা চাঁদা বানিজ্য

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ৫ আগস্ট, ২০১৯

কক্সবাজার চকরিয়া প্রতিনিধিঃ

কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরশহরের যানজট দূর্ভোগের যেন অন্ত নেই। চকরিয়া পৌরশহরকে যানজট মুক্ত করতে ২০১০ সালে নির্মাণ করা হয়েছিলো চকরিয়া পৌর বাস থার্মিনাল।

কিন্তু এই সুন্দর থার্মিনাল ব্যবহার না করে মাতামুহুরী ব্রিজের পর থেকে পৌর বাস থার্মিনাল পর্যন্ত অবৈধভাবে মহাসড়কের দুই পাশেই পার্কিং করে আসছে সিএনজি, টমটম, নোহা, ট্রাকসহ বিভিন্ন ছোট-বড় যানবাহন। অন্যদিকে হকাররা গড়ে তুলেছে তাদের রাজত্ব। ফুটপাত চাপিয়ে রাস্তার ওপর এসে পড়েছে তারা। যেখানে সেখানে গড়ে উঠেছে ফাস্টফুডের দোকান।

তাছাড়াও লবন মাঠ থেকে আসা পলিথিনগুলো বিক্রয় করছে যত্রতত্র। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে স্থায়ী যানজট। এই দূর্ভোগ যেন শেষ হওয়ার নয় চকরিয়াবাসীর।

যানজটযুক্ত এক কিলোমিটারের এই মহাসড়ক অতিক্রম করতে সময় লাগে প্রায় ১ ঘন্টা যেখানে শুধু লাগার কথা শুধু ১০ মিনিট।

এই ব্যাপারে সিনএনজি, টমটম লাইনম্যানেদের সাথে কথা বলতে গেলে তারা নির্দিষ্ট স্থান থেকে গা ঢাকা দেয়। কিছু সিএনজি ও টমটম চালকের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা নাকি পৌরসভার অনুমতিক্রমে রাস্তার মধ্যখানে গাড়ি পার্কিং করে থাকে। বিনিময়ে তাদের পৌরসভাকে দৈনিক ১০ টাকা করে দিতে হয়।

জনৈক ফাস্টফুড দোকানদার বলেন, তাদের দৈনিক ৪০ টাকা করে পৌরসভাকে দিতে হয় এবং তিনি নাকি ১০-১৫ বছর ধরে একই জায়গায় দোকানটি চালিয়ে যাচ্ছেন।

ভুক্তভোগী পথচারী ও মোটর সাইকেল আরোহীরা বলেন, আমাদের কক্সবাজার ০১ আসনের এমপি জাফর আলমের কাছে শুধু একটাই অনুরোধ, আমরা যানজট মুক্ত পৌরসভা চাই। এই দূর্ভোগ আমাদের আর সহ্য হচ্ছে না।

এই ব্যাপারে পৌরসভা মেয়র মোহাম্মদ আলমগীরের সাথে কয়েক বার যোগাযোগ করার চেস্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।