রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল -|- ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

বাঁশখালীতে পিতা-পুত্রের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়তি ও প্রতারণার অভিযোগে স্মারকলিপি প্রদান ও মানববন্ধন

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ৫ আগস্ট, ২০১৯

বাঁশখালী প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের বাঁশখালী পুঁইছড়ি ১১ নং ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড়ের মোজাহের আহমদ (৮০) ও তার ছেলে আব্বাস (৫০) দু’জনের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়তি ও প্রতারণার অভিযোগে বাঁশখালী উপজেলা পরিষদ ও থানার সামনে ছৈয়দ আহমদ ও তার এলাকাবাসীরা বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা বরাবর স্মারক লিপি প্রদান ও মানববন্ধন করেছে।


সোমবার (৫ আগষ্ট) পুঁইছড়ি ইউনিয়ন ৩ নং ওয়ার্ড়ের মোজাহের আহমদ ও তার ছেল আব্বাস গং কতৃক পাশ্ববর্তী ছৈয়দ আহমদ (৬০) উপর মিথ্যা মামলা, হয়রানী ও প্রতারনার মাধ্যমে রেজিস্ট্রিকৃত ও বায়না নামার জায়গা না দিয়ে ২০ লক্ষ টাকার মত ক্ষতি সাধনের বিরুদ্ধে ছৈয়দ আহমদ ও তার এলাকাবাসীরা অভিযুক্ত মোজাহের আহমদ ও তার ছেলে আব্বাস এর বিরুদ্ধে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা বরাবর স্মারক লিপি প্রদান ও মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া এলাকাবাসী নজির আহমদ (৫০), পারভেজ (৩৬), জাকেরা বেগম(৩৫) সহ নারী- পুরুষ সকলে বলেন, অভিযোগকারী ছৈয়দ আহমদ তার পাশ্ববর্তী মোজাহের আহমদ থেকে ২০১৬ সালে বায়না নামা ও রেজিস্ট্রী মূলে জায়গা কিনে নেয়। বায়না নামার কিছু জায়গা রেজিষ্ট্রেী দিলেও অবশিষ্ট জায়গা রেজিষ্ট্রী না দিতে মোজাহের আহমদের ছেলে আব্বাস প্রচার করে যে বাবা আমাকে আগে থেকেই সমূদয় জায়গা হেবা রেজিষ্ট্রেী সম্প্রাদন করিয়াছে এদিকে বাবা হেবা ঘোষণাকে সম্পুর্ন অস্বীকার করে জাল-জালিয়তী বলে পুত্র আব্বাস এর বিরুদ্ধে মামলাও করে। পরবর্তীতে পিতাপুত্র এক হয়ে সোলেনামা সম্প্রদান করে। তারপর থেকে পিতাপুত্র সুকৌশলে ছৈয়দ আহমদেকে বায়না নামা ও রেজিস্ট্রীর জায়গা না দিতে বিভিন্ন কায়দায় মিথ্যা মামলা করে হয়রানী ও প্রতারণা করে চলেছে।
অভিযুক্ত মোজাহের আহমদ প্রতারণার দায়ে বর্তমানে হাজতে আছে। মোজাহের আহমদ হাজতে থাকলেও অপর অভিযুক্ত (মোজাহের আহমদ) এর ছেলে আব্বাস কিন্তু থেমে নাই। অভিযুক্ত আব্বাস ছৈয়দ আহমদ কে আবারও বিভিন্ন মামলা-মোকর্দমায় জড়িয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও ক্ষতি সাধনের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
পুতিপুত্রের যোগসাজশেে এ পর্যন্ত ছৈয়দ আহমদ এর কাছ থেকে নেওয়া ১১ লক্ষ টাকা সহ সর্বমোট ২০ লক্ষ টাকার মত ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে জানায়।
মিথ্যা মামলা, হয়রানি ও প্রতারণার শিকার সৈয়দ আহমদ ও তার এলাকাবাসীরা আরো বলেন, হয়রানি মিথ্যা মমলা ও প্রতারণা ফাঁদ হইতে রেহাই ও ২০ লক্ষ টাকার মতো ক্ষতি সাধনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে বিচার চেয়ে এই মানববন্ধন করে বলে জানায়।

এ বিষয়ে বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম মজুমদার এর সাথে যোগাযোগ করিলে বলেন, উভয়পক্ষ মানববন্ধন করে একে অপরকে দোষারোপ করেছে। থানায় উভয়পক্ষের অভিযোগও আছে।। উভয়পক্ষের অভিযোগ জায়গা সংক্রান্ত বিষয়। এবিষয়ে দেওয়ানী আদালতে মামলাও আছে। আদালতের বিচারেই সুষ্ঠু সমাধান হবে। তবে আইন শৃঙ্খলার যেন অবনতি না হয় সেদিকে নজরদারি থাকবে বলে জানান।