রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল -|- ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশসহ ৬০ গ্রামে একদিন আগেই ঈদ উদযাপন

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ১১ আগস্ট, ২০১৯

মো. নুরুল আলম, চন্দনাইশঃ

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশসহ ৬০ গ্রামে রোববার উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। সকালে ঈদের নামাজ শেষে এসব গ্রামে পশু কোরবানি করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার জাহাঁগিরিয়া শাহ্সুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফ ও সাতকানিয়ার মির্জাখিল দরবার শরীফের অনুসারীরা প্রতিবছরের মতো এবারো ঈদুল আজহার নামাজ আদায় শেষে পশু কোরবানি দিয়ে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে একদিন আগেই ঈদ উৎসব পালন করেন।

সৌদি আরবে হজ পালনের পরের দিন এই দরবারের অনুসারীরা বিগত আড়াইশত বছরের অধিক সময় ধরে ঈদুল আজহা উদযাপন করে আসছেন।

চন্দনাইশ জাহাঁগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফ ও সাতকানিয়া মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা এ আজ ঈদুল আযহা পালন করবেন।

চন্দনাইশ কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের জাহাঁগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবারের শাহজাদা মাওলানা মো. মতি মিয়া মনসুর জানান, চন্দনাইশ উপজেলার এলাকার বেশকয়েকটি গ্রাম ও মির্জারখীল পুরো গ্রামের মানুষ আজ (রোরবার) ঈদুল আজহা পালন করছেন।

প্রায় দুই শতাধিক বছর ধরে মির্জারখীল দরবার শরীফের মুরিদরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের অন্যান্য স্থানের একদিন আগে ঈদুল আজহা উদযাপন করেন। একইভাবে রোজা ও ঈদুল ফিতর উদযাপনও সৌদি আরবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে একদিন আগে হয়ে থাকে।

তিনি আরো জানান, চট্টগ্রাম ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে চন্দনাইশ জাহাঁগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফ ও মির্জারখীল দরবার শরীফের মুরিদ রয়েছে। যেসব এলাকায় ভক্তের সংখ্যা বেশি সেসব এলাকায় তারা নিজেরাই ঈদের নামাজের আয়োজন করেন।

আর যেসব এলাকায় মুরিদ কম তারা চন্দনাইশ জাহাঁগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফ ও মির্জারখীল দরবার শরীফে এসে ঈদের নামাজ আদায় করেন। ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় শতাধিক মুরিদ দরবার শরীফ এলাকায় চলে এসেছে বলেও জানান তিনি।

জাহাঁগিরিয়া শাহ্সুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফ ও সাতকানিয়া দরবার শরীফের অনুসারীরা দক্ষিণ চট্টগ্রামের যেসব গ্রামে ঈদুল আজহা পালন করছেন সেগুলোর মধ্যে চন্দনাইশের পশ্চিম এলাহাবাদ, কাঞ্চননগর, মাইজপাড়া, জুনিঘোনা, আব্বাস পাড়া, সৈয়দাবাদ, দক্ষণি কাঞ্চননগর, খুনিয়ার পাড়া, হাশিমপুর, কেশুয়া, সাতবাড়িয়া, মোহাম্মদপুর, হারালা, চন্দনাইশ পৌরসভার বুলার তালুক, হরিণার পাড়া, ফকির, সর্বল কাজী বাড়ি, বাশঁখালীর জলদি, কালিপুর, গুনাগড়ি, গন্ডামারার মিঞ্জিরিতলা, সনুয়া, সাধনপুর, আনোয়ারার তৈলার দ্বীপ, বাথুয়া, বারখাইন, বোয়ালখালির চরনদ্বীপ, খরনদ্বীপ, লোহাগাড়ার আমিরাবাদ, চুনতি, বরহাতিয়া, পুটিবিলা, উত্তর সুখছড়ি, আদুনগর, সাতকানিয়ার মির্জাখিল, বাংলাবাজার, মইশামুড়া, খোয়াছপাড়া, বাজালিয়া, কাঞ্চনা, গাঠিয়াডাঙ্গা, পুরাণগর, মলেয়াবাদ গ্রামসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামে ৬০টি গ্রামে ঈদুল আযহা উৎসব পালিত হচ্ছে।

দক্ষিণ চট্টগ্রাম ছাড়াও জেলার সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ, মীরসরাই, হাটহাজারী, রাঙ্গুনিয়া, উখিয়া, বান্দরবান, আলী কদম এলাকায় সকালে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে।