শুক্রবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল -|- ১৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

চন্দনাইশে এসিল্যান্ডে হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেল স্কুলছাত্রীটি

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

বরকল এস. জেড উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির স্কুলপড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দিয়েছে চন্দনাইশ উপজেলা প্রশাসন।

বাল্যবিবাহ সংগঠিত হওয়ার সময় বর পক্ষকে ১০ হাজার টাকা ও কনে পক্ষকে ১০ হাজার মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও বিয়ের উপযুক্ত বয়স নেয়া হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না করার মুচলেকা দিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার মাধ্যমে বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) নিবেদিতা চাকমা (এসিল্যান্ড)।

রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুর ১টার সময় চট্টগ্রাম জেলায় চন্দনাইশ থানায় বরকল ইউনিয়নের পশ্চিম কানাইমাদারী গ্রামের কনের পক্ষের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তুতি সময় গোপন সংবাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সহকারি কমিশনার (ভূমি) নিবেদিতা চাকমার নির্দেশে উপজেলার সমাজসেবা অফিসার জসিম উদ্দিন, উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হাসান আল মামুন ও চন্দনাইশ থানার এসআই শরীফ সহ কর্মকর্তা উপস্থিত হয়ে এ বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেয়। এরপর বর,কনে ও অভিভাবকদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে রাখা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও ভূমি উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নিবেদিতা চাকমা এবং চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ কেশব চক্রবর্তী এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, মো: আরিফুর রহমান সবুজ (২
৪) পটিয়া উপজেলার খরনা ইউনিয়নের ইউনুস মেম্বারের বাড়ী গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলের সাথে চন্দনাইশ উপজেলার বরকল ইউনিয়নের পশ্চিম কানাইমাদারী গ্রামের আনোয়ার মিয়া’র মেয়ে সায়মা আকতার (১৪) এর সাথে পারিবারিকভাবে রোববার বিয়ের দিন ধার্য করা হয়। ওই সময় এ্যসিল্যান্ডের নির্দেশে পুলিশ উপস্থিত হয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন।

রোববার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস কক্ষে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বরের অভিভাববকে ১০ হাজার টাকা ও কনের অভিভাবককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও উভয় পক্ষকে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেয়ার শর্তে মুচলেকা দিয়ে বর ও কনেকে ছেড়ে দেয়া হয়।

উল্লেখ্য যে, সায়মা ২০১৭ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তার পরীক্ষার রোল নং- ম-৮৪৩। সে অনুযায়ী তার জন্মতারিখ ১ জানুয়ারী’০৫। কনের অভিভাবক পার্শ্ববর্তী আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর ইউনিয়ন থেকে ১ জানুয়ারী’০২ উল্লেখ করে জন্ম সনদ সংগ্রহ করেন। অবশেষে ভ্রাম্যমাণ আদালত সঠিক তথ্য সংগ্রহ করায় বাল্য বিয়ে থেকে মুক্তি পেল বালিকা সায়মা।