রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল -|- ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

একেপরএক ৩৩হাজার ভোল্ট বিদ্যুতের টাওয়ারের চূড়ায় ভারসাম্যহীন নাছির

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৯

এমএহামিদঃ
চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের গুয়াপঞ্চক গত রবিবার ১৮ আগষ্ট দুপুর ২ টায় নাছির নামের এক ভারসাম্যহীন যুবকএকলাখ ৩৩ হাজার ভোল্ট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুতের টাওয়ারের মাথার উপর উঠে বিলাপ করতে থাকে । তার মুখে শুধু একটাই কথা-ওরা আমার মা’কে গলাটিপে মেরে ফেলেছে। এ কথা বলে সে কপাল চাপড়ায়। চিৎকার করে কেঁদে ওঠে।

চন্দনাইশ পৌরসদর ৩৩হাজার বিদ্যুতের টাওয়ার চিত্র

এসময় তাকে এক নজর দেখার জন্য টাওয়ারের নিচে হাজার হাজার মানুষের ভিড় জমে। প্রাণপণ চেষ্টা করেও নামাতে পারেনি সাধারণ জনগন। খবর পেয়ে আনোয়ারা থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে নানা কৌশলে ওই পাগলকে বিদ্যুতের টাওয়ারের উপর থেকে নামিয়ে আনেন। আর বেহুঁশ অবস্থায় তাকে আনোয়ারা হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে প্রাথমিক চিকিৎসা পরপর তার জ্ঞান ফিরে আসে।
এর আগে ৭আগষ্ট দুপুরে চন্দনাইশ পৌরসদর এলাকায় ৩৩হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের টাওয়ারের উঠে এই ভারসাম্যহীন নাছির।


চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নামিয়ে আনার চিত্র

পরে তার পরিচয় জানাযার, তার নাম মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন (২৫) পিতার নাম সিরাজ বাবুর্চি, বাড়ী নোয়াখালির সেনবাগ বলে সে জানায়। চট্টগ্রামের বাকলিয়ার বউবাজার এলাকায় মেহমান কলোনীতে সে থাকে।

নাছির জানায়, ছোট অবস্থায় জিন তার মাকে মেরে ফেলে। সেই ছোট বয়স থেকে জিনই তাকে টাওয়ারের উপর তুলে ফেলে।
অনেক সময় তার শরীরেও আঘাত করে জিনে। আরো জানাযার চট্টগ্রামের সিতাকুন্ডো, বায়েজিদ, রাউজান, চন্দনাইশ সর্বশেষ আনোয়ায় সে বিদ্যুতের টাওয়ারে উঠেছে বলে জানায়।


চন্দনাইশ হাসপাতালের জ্ঞান আসারপর চিত্র

আনোয়ারা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার মুহাম্মদ তারেক জানান, রবিবার দুপুরে টার দিকে খবর পেয়ে বৈরাগ ইউনিয়নের গুয়াপঞ্জক এলাকায় ছুটে যায়। গিয়ে দেখি ১ লক্ষ ৩৩ হাজার ভোল্টের প্রায় ২০০ ফুট উচ্চতার একটি বৈদ্যুতিক টাওয়ারে মাথায় বসে বিলাপ করছে ওই পাগল।

পরে তার সাথে কথা বলে বিভিন্ন কৌশলে তাকে টাওয়ার থেকে নামিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করায়। মনে হচ্ছে লোকটি ভারসাম্যহীন।