রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল -|- ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

দোহাজারী হাসপাতাল ১০০ শয্যায় উন্নীত করার দাবিতে ৭৫ টি সামাজিক সংগঠনের সম্মিলিত মানববন্ধন

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভাস্থ দোহাজারী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা, আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ পর্যাপ্ত পরিমাণ চিকিৎসা সামগ্রী নিশ্চিত করা, হাসপাতাল বৃহদায়নে প্রয়োজনীয় ভবন নির্মাণ, এ্যাম্বুলেন্স চালকের পদ সৃষ্টি করে দ্রুত চালক নিয়োগ দিয়ে অচল এ্যাম্বুলেন্স সচল করা এবং প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিয়ে ২৪ ঘন্টা জরুরী স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার দাবিতে ‘দোহাজারী ব্লাড ব্যাংক’র সার্বিক সহযোগীতায় চন্দনাইশ-সাতকানিয়া (আংশিক) এর ৭৫ টি সামাজিক সংগঠনের সম্মিলিত অংশগ্রহণে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে দোহাজারী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সামনে ঘন্টাব্যাপি এ মানববন্ধনে দাবি সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে দোহাজারী পৌরসভা, কালিয়াইশ, সাতবাড়ীয়া, খাগরিয়া, ধোপাছড়ি, ধর্মপুর, পুরানগড়, হাসিমপুর ইউনিয়নের প্রায় ৫ হাজার লোক অংশগ্রহণ করে।
চন্দনাইশ উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডার জাফর আলী হিরুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম, মোঃ লোকমান হাকিম, ফয়েজ আহমদ টিপু, মোঃ সোলায়মান, শাহ্ আলম মেম্বার, জামাল উদ্দীন মেম্বার, জাহাঙ্গীর মেম্বার, বিষ্ণু যশা চক্রবর্তী, রূপক কান্তি দাশ, মুন্সি আব্দুর রব সৌরভ, মুহাম্মদ আব্দুল আহাদ, নুর হোসেন প্রমূখ।

এসময় বক্তারা বলেন, দোহাজারী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক উপ-শহরখ্যাত দোহাজারী পৌরসভার জনসাধারণের স্বাস্থ্য সেবায় একমাত্র ভরসাস্থল। দোহাজারী পৌরবাসী সহ এই হাসপাতালে সেবা নিতে আসেন চন্দনাইশ উপজেলার ৩ টি ও সাতকানিয়া উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ। ৩১ শয্যা হলেও প্রায় প্রতিদিন ৭০/৮০ জন রোগী ভর্তি থাকেন। শয্যা না পেয়ে মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হন রোগীরা। তাছাড়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক সংলগ্ন হওয়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় আহত রোগীরা দ্রুত চিকিৎসা পেতে এই হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। হাসপাতালের জন্য ২০১৪ সালে বরাদ্দকৃত এ্যাম্বুলেন্সটি দীর্ঘ তিন বছর যাবত তালাবদ্ধ গ্যারেজে থেকে যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে চালক না থাকার কারনে। তাছাড়া হাসপাতাল ভবণটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় ভর্তি থাকা রোগীরাও ঝুঁকির মূখে রয়েছেন। হাসপাতালের সকল সমস্যা নিরসণ করে চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়নের দাবি জানান বক্তারা। দাবীর স্বপক্ষে জনমত তৈরি করতে মানববন্ধনের আগে চন্দনাইশ-সাতকানিয়া (আংশিক) এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সাংবাদিক, বিশিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে মতবিনিময়ও করেছেন সম্মিলিত সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। মানববন্ধনের পর স্থানীয় সাংসদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করে দ্রুত দাবি বাস্তবায়নের অনুরোধ জানানো হবে বলেও উল্লেখ করেন মানববন্ধন আয়োজক সংশ্লিষ্টরা।