শুক্রবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল -|- ১৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

১৫ বছর ধরে এক সঙ্গে দুই সরকারি চাকরি প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৯

হৃদয়ে চট্টগ্রাম ডেস্কঃ প্রায় ১৫ বছর ধরে সরকারি দুই পদে এক সঙ্গে চাকরি করে সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন আনোয়ারা উপজেলার মো. রফিকুল ইসলাম (৪৩)। আনোয়ারা উপজেলাধীন উত্তর বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রফিকুল অবশেষে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে গেছেন। গতকাল রোববার বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ ইসমাইল হোসেনের আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু। এর আগে তাকে আগ্রাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে দুদক। গ্রেপ্তার রফিকুল ইসলাম আনোয়ারা উপজেলার চুন্নাপাড়া গ্রামের মৃত আবদুস সাত্তারের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মো. রফিকুল ইসলাম ২০০০ সালের ২৯ অক্টোবর লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়ন পরিষদে সচিব হিসেবে যোগদান করেন। এর ১০ মাস পর ২০০১ সালের ২৯ আগস্ট তিনি আনোয়ারা উপজেলার সরস্বতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এই স্কুলে দুই বছর চাকুরি করার পর ২০০৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ওই চাকরি থেকে অব্যাহতি দেন। তবে এর এক মাস আগে ওই ব্যক্তি ২৩ জানুয়ারি আনোয়ারা উপজেলার দক্ষিণ জুইদণ্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে বর্তমানে উত্তর বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। এরমধ্যে ২০১৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর মীরসরাই উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব পদ থেকে তিনি অব্যাহতি দিলেও সরকারি চাকুরি বিধিমালার ব্যত্যয় ঘটিয়ে ১৫ বছর ধরে দুই পদে থেকে সরকারি খাত থেকে প্রায় ১৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪৬৫ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এর আগে দুদক অনুসন্ধানে নেমে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে মামলার অনুমতি চেয়ে প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন দেন। পরে প্রধান কার্যালয় থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর গতকাল রোববার সকালে দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এ রফিকুল ইসলামকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন প্রতিষ্ঠানের উপ-সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলী। তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।