রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল -|- ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

বাঁশখালীতে পুকুরে পড়ে মৃগী রোগী মাদরাসা শিক্ষকের মৃত্যু

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৯

বাঁশখালীতে পুকুরে পড়ে মৃগী রোগী মাদরাসা শিক্ষকের মৃত্যু

মুহাম্মদ সাঈদুল ইসলাম বিশেষ প্রতিনিধিঃ

সোমবার(৪ নভেম্বর২০১৯) ভোরে ফজরের নামাজের আগে মাদ্রাসার বার্থরুমে পায়খানা-প্রসাব করার জন্যে বদনা নিয়ে পুকুরে পানির জন্য গেলে পুকুরে পড়ে জালিয়াঘাটা তাজবিদুল কোরআন মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা ওয়াহিদুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনা হয়েছে।

নিহত শিক্ষক মাওলানা ওয়াহিদুল্লাহ পুর্ব বড়ঘোনা ৫নং ওয়ার্ড় সকাল বাজার এলাকার আহমদ মিয়ার ৩য় পুত্র বলে জানা যায়। মাদরাসার মোহতামিম মাওলানা মোজাম্মেল হক বলেন, ফজরের নামাজের জামাতের সময় হলে আমরা মসজিদে তারাতারি চলে যাই। মসজিদে নামাজে দেখি নাই এরপর মাদরাসায়ও তাকে দেখতে না পেলে খুঁজাখুঁজি করলে আনুমানিক সকাল সাড়ে ৬টায় পুকুরে তার লাশ পাওয়া যায়। স্থানীয় ডাক্তার দেখে মৃত বলে ঘোষণা দেন। মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, নূরানি হুজুর এভাবে আগেও একবার মৃগী রোগে পডে গিয়েছিল। মাদরাসা কতৃপক্ষ নিহত ব্যক্তির বাড়ীতে খবর দিলে নিহতের চাচাতো ভাই মিছবাহ, আপন বড় ভাই রজিউল্লাহ ও আপন বাবা এম্বুলেন্স নিয়ে হাজির হন।
নিহত মাওলানা ওয়াহিদুল্লাহর চাচাত ভাই, আপন বড় ভাই ও বাবা নিহত ওয়াহিদুল্লাহর মৃগী রোগীর কথা স্বীকার করেন।
নিহতের বাবা বলেন আমার চার ছেলে তার ছোট ভাইও মৃগী রোগে মারা যায়,ওয়াহিদুল্লাহ আমার ৩য় পুত্র। সে ১৫/১৬ বছর আগে থেকে মৃগী রোগে আক্রান্ত। তাকে বিয়ে করাইছি।প্রায় ২ মাস বয়সের একটা দুধের সন্তান আছে। আমার কাঁধে ছেলের লাশ খুবই মর্মাহত। সবার কাছে দোয়ার আকুতি জানান। অতপর মৃতের ১ম নামাজে জানাজা মাদরাসা মাঠে শেষ করে নিজ বাড়ী বড়ঘোনায় নিয়ে যান।
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য রশিদ আহমদ বলেন আমাকে খবর দিলে সরেজমিনে গিয়ে দেখি। প্রত্যক্ষদর্শী, মাদরাসা কতৃপক্ষ ও নিহত ব্যক্তির ভাই ও বাবার সাথে কথা বলে নিশ্চিত হই যে সে মৃগী রোগী ছিল। মৃগী রোগের কারণেই পুকুরে পড়ে গিয়ে এই মৃত্যু ঘটে।