রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল -|- ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

নানা সঙ্কটে সরই ইউনিয়নের ধুইল্যাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৯

আরিফুল ইসলাম,নিজস্ব প্রতিনিধি:
দুর্গম পাহাড়ে আলো ছড়াচ্ছে ধুইল্যাপাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কিন্তু নেই পর্যাপ্ত পরিমান অবকাঠামো। ফলে ব্যাহত হচ্ছে শ্রেণি কর্যক্রম।এমন অবস্থায় সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন অভিভাবক ও স্হানীয় সচেতন মহল।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের কেয়াজু পাড়া থেকে অন্তত ৫ কিলোমিটার উত্তরে ১৯৯৮ সালে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলীর সহযোগিতায় অবহেলিত শিক্ষা বঞ্চিত এলাকার কোমলমতি শিশুদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয়ে কৃষক সমশু মিয়ার দানকৃত. ৪০ শতক জমির উপর বিদ্যালয়টি যাত্রা শুরু করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ প্রায় ২১ বছর অতিক্রম হচ্ছে এই বিদ্যালয়টি।দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও সমাধান হচ্ছে না শ্রেণি কক্ষ সংকটের সমস্যা।
শ্রেণি কক্ষের অভাবে ক্লাশে ছাত্র – ছাত্রীদের বসতে হচ্ছে গাদাগাদি করে। ধুইল্যাপাড়া স্কুলটি বেসরকারিভাবে পরিচালিত হওয়ায় রয়েছে নানা সমস্যা। পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানির অভাব,স্যানিটেশন ব্যবস্হার সমস্যা ও বিদ্যুৎ সরবরাহের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে শ্রেণি কার্যক্রম।আবার উপবৃত্তির টাকা না পাওয়ায় দুর্গম এলাকার দরিদ্র বাবা মায়ের স্বল্প আয়ে ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার খরচ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
অত্র স্কুলের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী ফরজানা আক্তার বলেন আমরা কোন উপবৃত্তির টাকা পায় না,যার ফলে বাবা মায়ের স্বল্প আয়ে পড়া লেখা চালিয়ে যেতে পারছি না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন জানান অত্র বিদ্যালয়ে আমি সহ ৪ জন শিক্ষক দীর্ঘ দিন থেকে সম্পূর্ণ বিনা বেতনে খেয়ে না খেয়ে অতি কষ্ট করে দুর্গম এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
অথচ বিদ্যালয়টি ৩য় ধাপে জাতীয়করণের জন্য জেলা উপজেলার কমিটির পক্ষ থেকে অধিদপ্তরে সুপারিশ করা হয়।দুর্ভাগ্যবশত বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়ে,যার ফলে আমাদের মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে।

সরই ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম বলেন আমার ইউনিয়নের এই ধুইল্যাপাড়া গ্রামের অন্তত ৫ কিলোমিটারে মধ্যে কোন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় অত্র বিদ্যালয়টির গুরুত্ব অপরিসীম।
আমি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যাতে বিদ্যালয়টি সরকারিকরণের আওতায় আসে।
এমতাবস্থায় স্কুলটি সরকারিকরণের ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সহযোগিতা কামনা করেন এলাকাবাসী ও অভিভাবক মহল।