রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল -|- ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

শিক্ষার্থীরা পরীক্ষাকেন্দ্রে, অভিভাবক অপেক্ষায় অগ্নিরোদে

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৯

এমএহামিদ: সারাদেশে জে.এস.সি, জে.ডি.সি পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর প্রতিটি কেন্দ্রে দেখা যায়, অভিভাবক শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিজ নিজ পরীক্ষা কেন্দ্রে নিদিষ্ট সময়ে পৌঁছায়। আর যতখন পরীক্ষা শেষ না হয় অগ্নিরোদে অপেক্ষা করতে অভিভাবকদের।
এই দৃশ্য দেখা যায় চন্দনাইশ গাছবাড়িয়া নিত্যন্দ্র গৌরচন্দ্র মডেল বিদ্যালয়, দোহাজারী জামিজুরী আঃরহমান বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে শতশত নারী পুরুষ দাঁড়িয়ে অপেক্ষারত সন্তাদের জন্য।

একজন অভিভাবক কে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, আমার মেয়ে দোহাজারী জামিজুরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে
পড়ে। এইবার জেএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ের সেন্টার পড়েছে দোহাজারী জামিজুরী আঃরহমান বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে। মেয়েপরীক্ষা দিতে হলে গেছে, তার জন্যই অপেক্ষারত আছি। পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বাড়ী দূরত্বটা
খুব বেশি নয় মাত্র দশ মিনিটের । এই রোদে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে না থেকে বাসা থেকেও ঘুরে আসতে
পারতেন…

উত্তরে বলেন, যতক্ষণ পরীক্ষা শেষ না হবে, ততক্ষণ বাসায় গিয়ে স্থির থাকতে পারব না খুব চিন্তায় থাকব । তাই বাসায় গিয়ে অস্থির থাকার চেয়ে এই রোদে দাঁড়িয়ে থাকাও অনেক উত্তম।

একজন প্রবীন অভিভাবক থেকে জানতে গেলে তিনি জানান,আমার বাড়ী চন্দনাইশের শেষ প্রান্তে পাহাড়ি এলাকা ধোপাছড়ি ইউনিয়নের শামুকছড়ি গ্রামে, মেয়েকে নিয়ে কাকডাকা ভোরে বাড়ী থেকে বেরহয়েছি, ধোপাছড়ি খাল,শঙ্খ নদী পার হয়ে সিএনজি করে সাতকানিয়া হয়ে এসেছি, বলতে গেলে একপ্রকার ক্লান্ত হয়ে যায়, মেয়েকে কেন্দ্রে দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি, বসার মত কোন জায়গা ও নেই। তবুও সন্তানের জন্য খুশি মনে দাঁড়িয়ে থাকি।
পাশে দাঁড়ানো একজন চাকমা থেকে জানতে চাইলে তিনি কেন দাঁড়িয়ে আছেন, তিনি বলেন, আমার মেয়েও পরীক্ষা দিচ্ছে বাবু, অনেক কষ্ট করে মেয়েকে পড়াচ্ছি, জানতে চাইলে কিভাবে এসেছেন তিনি জানান, আমার বাড়ী বান্দরবনের পাশে কিন্তু্ু আমার মেয়ে ধোপাছড়ি স্কুলে পড়ে , মা মেয়ে প্রথমে বাড়ী থেকে মোটরবাইক করে ধোপাছড়ি বাজারে আসি এরপর নদী পার হয়ে শীলঘাটা থেকে সিএনজি রিজার্ভ করে সাতকানিয়া হয়ে অনেক দূরপাড়ী দিয়ে আসতে হয় , খুব কষ্টহয় বাবু, তবুও যদি মেয়েটার আশা পূর্ণ হয় ভালোভাবে পাস করে, এতে আমি খুশি।

অনেকে আবার দেখাযায় দলবদ্ধ হয়ে আড্ডা দিচ্ছে, আর বার বার বিদ্যালয়ে কখন ছুটির ঘন্টাবাজবে কানপেতে আছে।