রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল -|- ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

সাধারণ সিগারেটের চেয়ে বেশী ক্ষতিকর ই-সিগারেট

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮

ধুমপান মানুষের ক্রোমিয়াম ও নিকেল শ্বাসনালীর অসুখ ও ফুসফুসের ক্যান্সারের হওয়ার জন্য দায়ী।পাশাপাশি এটি সীসা স্নায়ুর ও রক্তনালীর বিভিন্ন অসুখের জন্য দায়ী। ধারনা করা হয় সাধারণ সিগারেটের চেয়ে ই-সিগারেট কম ক্ষতিকর মনে করা হলেও প্রকৃতপক্ষে সে সত্য নয়।

সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ই-সিগারেট সেবনকারীরা ধোঁয়ার সাথে সীসা, ক্রোমিয়াম, এবং আর্সেনিকের মতো বিষাক্ত পদার্থ গ্রহণ করেন।

এনভায়রনমেন্টাল হেলথ পার্স্পেক্টিভস জার্নালে গত বুধবার প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে একথা জানানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ব্লুমবার্গ স্কুল অফ পাবলিক হেলথ ৫৬টি ভ্যাপিং ডিভাইস বা ই-সিগারেট সেবনের যন্ত্র পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন।

গবেষকরা সত্যিকারের ভেপারদের কাছ থেকে ওইসব যন্ত্র সংগ্রহ করেন। আগে বিভিন্ন গবেষণায় কেবল নতুন ই-সিগারেট পরীক্ষা করা হতো। কিন্তু, ভেপাররা যেসব যন্ত্র নিয়মিত ব্যবহার করেন সেগুলো পরীক্ষা করতে চাইছিলেন জন হপকিন্সের গবেষকেরা।

গবেষণাপত্রটির লেখকেরা ই-সিগারেটের তিনটি জিনিস পরীক্ষা করেছেনঃ এতে ব্যবহৃত নিকোটিন যুক্ত তরল, যন্ত্রের পেন চেম্বারে থাকা তরল, এবং এর এরোসল বা ভ্যাপর। যন্ত্রটিতে থাকা যে ধাতব কয়েল তরলকে বাষ্পে পরিণত করে তা থেকে কোনওভাবে বিষাক্ত পদার্থ নির্গত হয় কিনা তা নিশ্চিত হতে চাইছিলেন গবেষকেরা।

গবেষকরা দেখতে পান তাদের অনুমানই ঠিক। ই-সিগারেটের তরলে আর্সেনিক ছাড়া অন্য বিষাক্ত ধাতব পদার্থ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে খুঁজে পাননি তারা। কিন্তু, অর্ধেকেরও বেশি ডিভাইসের তরল রাখার চেম্বার বা ট্যাঙ্ক ও এরোসলে প্রচুর পরিমাণে ক্রোমিয়াম, নিকেল, ও সীসা পান তারা।

গবেষকরা বলছেন, ক্রোমিয়াম ও নিকেল শ্বাসনালীর অসুখ ও ফুসফুসের ক্যান্সারের জন্য দায়ী। সীসা স্নায়ুর ও রক্তনালীর বিভিন্ন অসুখের জন্য দায়ী।

গবেষক অ্যানা মারিয়া রুলে বলেন, ‘ই-সিগারেট নির্মাতা ও সেবনকারীদের জানা উচিত যে, এগুলোর হিটিং কয়েল এখন যেভাবে তৈরি হচ্ছে, তাতে সেগুলো থেকে বিষাক্ত ধাতব পদার্থ সেবনকারীদের শরীরে প্রবেশ করছে।’

গবেষকরা ই-সিগারেটগুলোতে দশ শতাংশেরও বেশি আর্সেনিক দেখতে পান। ই-সিগারেটের তরল, রিফিল চেম্বার ও এরোসলেসহ সব জায়গাতেই আর্সেনিক রয়েছে। ই-সিগারেটের হিটিং কয়েল থেকে বিষাক্ত ধাতু নির্গত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও, এর সেবনযোগ্য তরলে কীভাবে আর্সেনিক এল তা ব্যাখ্যা করতে পারেনি কেউ।