আজ ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
অধ্যক্ষ আল্লামা সৈয়দ শামসুল হুদা (রহ.) এর ২৪ তম বার্ষিক ওরশ শরীফ উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে গাউছিয়া সমিতি ও গাউছিয়া যুব সমিতি বাংলাদেশ। ১৪ ডিসেম্বর শনিবার প্রথম দিবসে ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প, বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ, কর্ণ ছেদন, খৎনা, রক্তদান ও রক্তের গ্রুপ নির্ণয়সহ নানা কর্মসূচি ফটিকছড়িস্থ সৈয়দ বাড়ী দরবার শরীফ দরবারের বর্তমান সাজ্জাদানশীন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআ’ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মহাসচিব আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ মছিহুদ্দৌলার (মুজিআ)’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম কলেজের রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষাবিদ ড. নূ ক ম আকবর হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন রোটারিয়ান আবু হাসনাত চৌধুরী, রোটারিয়ান মোহাম্মদ শাহ আলম, রোটারিয়ান আবু মুহাম্মদ তৌছিফ রেজা, রোটারিয়ান শাহাদাত হোসেন, আলহাজ্ব জিয়াউদ্দিন জিয়া, আইনজীবী এটিএম শোয়েব, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ডা. মাঈনুল ইসলাম, ডা. ফয়সাল রানা।
১ম দিবসের কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ড.নূ ক ম আকবর হোসেন বলেন, সূফিজম নতুন কিছু নয়; ইসলামের মৌলিক মানবতাবাদী দর্শনের পথে মানুষকে আহবান করাই সূফিজম। একজন সুফির প্রধান উদ্দেশ্য হলো জিকির-আজকার বা ধ্যানের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য হাসিল করা এবং সর্বোত্তম উপায়ে তার সৃষ্টিজগতের সেবা করা। কেননা সৃষ্টিজগতের সেবা করার মাধ্যমেই সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। এজন্য বলা হয় “খিদমতে খালক খিদমতে খোদা হ্যায়”। একই কারণে সুফিরা হলেন আল্লাহর রসুল (দ.)-এর মহান ব্যক্তিত্বের রোল মডেল ও আদর্শ স্বরূপ। তিনি আরো বলেন, হযরত শামসুল হুদা (রহ.) শুধু আল্লাহর মকবুল প্রিয় বান্দাই ছিলেন না, বরং তিনি একজন সমাজ ও শিক্ষা হিতৈষী ব্যক্তিত্বও ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা সৈয়দ মছিহুদ্দৌলা বলেন, অধ্যক্ষ সৈয়দ শামসুল হুদার (রহ.)’র জীবন ও কর্ম তাঁর অগণিত ভক্ত-মুরীদদের পথনির্দেশক। তাঁর দেখানো পথেই সৈয়দ বাড়ি দরবার মাযহাব-মিল্লাতের খেদমতের পাশাপাশি মানবসেবায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
১ম দিবসে প্রায় শতাধিক রোগী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চিকিৎসা সেবা নেন, দুই শতাধিক কন্যাসন্তানের কর্ণ ছেদন, প্রায় ৫০০ শতাধিক রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও ৫০ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। পুরো ক্যাম্পটির পৃষ্টপোষকতা করে রোটারী ক্লাব অব চিটাগাং সুগন্ধা শাখা ও সার্বিক সহযোগিতা করে সন্ধানী ব্লাড ব্যাংকের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিট।
প্রথম দিবসে মুহাম্মদ মনছুর সিকদারের সঞ্চালনায় অতিথি ও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মোস্ত মিয়া মোল্লা, মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, মাস্টার আবুল বশর, ডা. মুহাম্মদ শফিউল আজম, মুহাম্মদ শাহ্ জালাল, বিশিষ্ট সংগঠক মুহাম্মদ মাছুমুর রশিদ কাদেরী, সাংবাদিক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, মুহাম্মদ হাসান, মুহাম্মদ নুরুল হাকিম, মুহাম্মদ আরমান, মুহাম্মদ সুমন, মুহাম্মদ ফয়েজ, মুহাম্মদ নাছির, মুহাম্মদ বেলাল প্রমূখ।
১৫ ডিসেম্বর রবিবার সমাপনী দিবসে সকাল থেকে পবিত্র খতমে কুরআন-খতমে বোখারী সহ বিভিন্ন খতমাত, বিকালে অধ্যক্ষ হযরত সৈয়দ মুহাম্মদ শামসুল হুদা (রহ.) এর কর্মজীবনীর উপর আলোচনা, মিলাদ-কিয়াম ও মুনাজাত শেষে রাত্রে তাবারুক বিতরণের মাধ্যমে পবিত্র ওরশ সমাপ্ত হবে।