আজ ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
মুহাম্মদ সাঈদুল ইসলাম বাঁশখালী চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রাম বাঁশখালী জলদি পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ডের অবস্থিত ঝারকাটা শাহ ওয়ালিউল্লাহ (রহঃ) হেফজখানা মাদরাসায় ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০ বুধবার সকাল ১০ টার সময় স্থানীয় লোকজন জমির নামের (৩০) মাদরাসার শিক্ষক কে ছাত্রী ধর্ষনের সন্দেহ হলে ধরে মারধরের ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি ছাত্রীর বাবা ও সচেতন জনগণ পৌর মেয়রকে জানালে পৌর মেয়র ধর্ষনকারী জমির কে গ্রাম পুলিশ দিয়ে পৌর কার্য্যালয়ে হাজির করে।
জানা যায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারী শনিবার ঐ ছাত্রী মাগরিবের পর সন্ধ্যায় যথানিয়মে হেফজ খানায় পড়তে গেলে শিক্ষক ছাত্রীকে মাদরাসার পড়ার রুম থেকে বাহিরে অন্ধকারে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করে। ছাত্রীটি অবশেষে মা-বাবাকে বিষয়টি খুলে বলে। ছাত্রীর মা-বাবা ও স্থানীয় জনগণ পৌর মেয়র কে অবগত করিলে পৌর মেয়র ধর্ষক জমিরকে গ্রাম পুলিশ দিয়ে পৌর কার্য্যালয়ে হাজির করে
কাউন্সিলর ও মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ধর্ষক ও ধর্ষিতার মা-বাবার কাছ থেকে জবানবন্দি নিয়ে ঘটনার সত্যতায় নিশ্চিত হলে পৌর মেয়র বাঁশখালী থানায় অবগত করে।
বাঁশখালী থানা সেকেন্ড অফিসার নাজমুল হাসান এসে ধর্ষকের কাছ থেকে জিজ্ঞাসা করে। ধর্ষক নিজেই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করিলে ধর্ষককে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ধর্ষক একজন বিবাহিত তার বউ জীবিত আছে, দুটি ছেলে-সন্তানও রয়েছে। ধর্ষক জমির (৩০) এর বাড়ী জলদি পৌরসভা ১ নং ওয়ার্ড় ভাদালিয়া এলাকার লেদু মিয়ার ছেলে। ধর্ষনের শিকার ছাত্রীর নাম উম্মে সাদীয়া (১২) একই থানাধীন জলদি ৫ নং ওয়ার্ডের এহসানুল হকের মেয়ে বলে সূত্রে জানা যায়। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় ধর্ষনকারী পৌরসভা ঝারকাটা শাহ ওয়ালীউল্লাহ (রহঃ) মাদরাসায় দীর্ঘ দিন ধরে হেফজ খানায় শিক্ষকতা করে। আর ছাত্রী টি নিয়মিত ভাবে হেফজ খানায় পড়তে যেতেন বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে ধর্ষনকারী জমির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলে আমি শয়তানের পাল্লায় পড়ে মারাত্মক অপরাধ করে ফেলেছি। ধর্ষনের শিকার ছাত্রীর বাবা কাছ থেকে জানতে চাইলে বলেন, আমার মেয়ের জীবন শেষ তাই আমি উপযুক্ত বিচার চাই।
এ বিষয়ে বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম মজুমদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানায় এই এমন একটি ঘটনার খবর পেলে বাঁশখালী থানা সেকেন্ড অফিসার নাজমুল হাসান হাফেজ জমির নামের এক ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে আসা হয়। সেকেন্ড অফিসার নাজমুল হাসান বলেন, জমির নামের এক মাদরাসা শিক্ষককে ধর্ষনের অপরাধে থানায় নিয়ে আসা হয়। ছাত্রীর মা-বাবা মেয়ের পক্ষে যদি এজাহার দায়ের করে তাহলে মামলা নিবো। এবং ধর্ষিতা মেয়েকে ধর্ষন পরীক্ষা করানোর জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। মেডিকেল রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।