শুক্রবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল -|- ১৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

ইতালির হাসপাতালে লা’শ রাখার জায়গা নেই

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ১৮ মার্চ, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক:

করোনা ভাইরাসে ইতালিতে দিন দিন বাড়ছে মৃ’তের সংখ্যা। ইউরোপের করোনা ঝুঁ’কিতে থাকা বয়স্ক জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ ইতালির। ফলে ভাইরাসে মৃ’তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে দেশটিতে। সোমবার একদিনেই দেশটিতে মা’রা গেছেন ৩০০ জনের বেশি। এ নিয়ে করোনার শি’কার হলেন কমপক্ষে ২১০০ ইতালীয়। এ সংখ্যা চীনের বাইরে সবথেকে বেশি। সব থেকে ভ’য়াবহ অবস্থা লোমবার্ডির। ইউরোপের করোনা ভাইরাস বিস্তারের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে শহরটি। সেখানে হাসপাতালের ম’র্গে আর লা’শ রাখার জায়গা হচ্ছে না। জানা গেছে, মৃ’তদের সৎকারেও কড়াকড়ি করছে ইতালি সরকার। ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য শেষ প্রার্থনায় অল্প কিছু নিকটজনকে অনুমতি দেয়া হয় অংশগ্রহণে। পরিবারের সদস্যরাও তাতে মাস্ক পরে যোগ দেন। ইতালির আরেক গ্রাম জোঙ্গোতে স্থানীয় পাদ্রিরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, তারা দিনে একবার মৃ’ত্যু ঘণ্টা বাজাবেন। কারণ করোনায় মৃ’ত্যুর মিছিল বড় হতে থাকায় সারাদিনই ঘণ্টা বাজাতে হচ্ছিল। ভাইরাসে আ’ক্রান্ত হয়ে যারা মা’রা যাচ্ছেন তাদের শেষ বিদায় দিতে পারছেন না স্বজনরা। হাসপাতালের আইসোলেটেড কক্ষে বন্ধু ও পরিবার ছাড়াই মা’রা যাচ্ছেন ইতালীয়রা। স্থানীয় গণমাধ্যমের সংবাদ থেকে অনেকেই সজনের মৃ’ত্যুর খবর জানছেন। স্থানীয় পত্রিকা লেকো দি বারগামো প্রতিদিন মৃ’তদের তালিকা প্রকাশ করে একটি পাতা বের করতো। কিন্তু করোনা ভ’য়াবহ রূপ ধারণ করার পর থেকে তাদের এ পাতার সংখ্যা বাড়তে থাকে। গত শুক্রবার তারা ১০ পাতায় মৃ’তদের তালিকা প্রকাশ করে। এদিকে সৎকারে যারা কাজ করছেন তারাও আ’ক্রান্ত হতে শুরু করেছেন করোনাতে। এতদিন মনে করা হতো মৃ’ত্যুর পর ম’রদেহ থেকে এ ভাইরাস ছড়াতে পারে না। ইতালির শহর কাস্টিগলিওন ডাড্ডার মেয়র জানান, ২১ ফেব্রুয়ারির পর থেকে এই ছোট শহরে ৪৭ জন মা’রা গেছেন। যেখানে পুরো ২০১৯ সালে মা’রা গেছেন ৫০ জন।