রবিবার, ১০ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২৫শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল -|- ৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংবাদকর্মীদের পাশে দাড়ান, তাদের সাহায্য করুন

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ১০ এপ্রিল, ২০২০

দেশের চরম সংকট মুহুর্তে করোনা মোকাবেলায় সবাই ঘরে অবস্হান করছে, একমাত্র সংবাদকর্মী ও প্রশাসনের লোক ছাড়া মোটামুটি সবাই নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ঘরেই থাকছে, সরকারও বলছে আপনারা ঘরে থাকুন, ঘরে থাকুন।

কিভাবে ঘরে থাকবো? আমরা সকল সংবাদকর্মীর অফিস খোলা, অফিসে না গেলে চাকরি থাকবেনা, বেতন দিবে না। সিমিত আকারে ব্যাংক খোলা। পোশাক কারখানা খোলা, নিন্মবিত্তের ঘরে খাবার নাই, তাদের সাহায্যের চাল নেতাদের ঘরে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। কাউন্সিলর/আওয়ামী লীগের নেতারা মুখ দেখে সাহায্য দিচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে কোন সাহায্য পৌছানো হচ্ছে না, এখন নেতাদের পাওয়াই যায়না। কত লীগ,কতনেতা, কত শোডাউন, কত মিছিল এখন তারা কই? গুটিকয়েক জন আছেন বাকীরা হোম কোয়ানটাইনে বউ বাচ্চাদের সাথে। আর গরীবরা না খেতে পেরে ঘরের বাহিরে।

সাহায্য ঘরে না দিয়ে ক্যামেরা/ মিডিয়ার সামনে রাস্তায় দিবেন, লোক জড়োকরে আর বলবেন ঘরে থাকতে। ৭২৭৫০ কোটি টাকার প্রনোদনা এলো, সরকারি কমকর্তারা যারা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন তারা বীমা পেলেন, আর আমরা সকল সংবাদকমী? আমরা কি পেলাম, কি পাব? আমাদের কি হবে? আমরা কি ঝুঁকিতে নেই। সব রাখবেন খোলা আর বলবেন ঘরে থাকতে।প্যান্ট পড়ে চেইন খোলা রাখা আরকি। এখনো সময় আছে বাংলাদেশ কে ইতালি / আমেরিকা বানানোর আগে এখনই ৫ টি নিউজ চ্যানেল সীমিত আকারে রেখে, সকল চ্যানেল/ পএিকা বন্ধ করে দিন, মালিকদের বেতন দিতে বলুন।

আমরা সংবাদকমীরা বাসায় বসে কাজ করবো, অনলাইন চালু থাকবে। ব্যাংক বন্ধ করুন, পোশাক কারখানা বন্ধ করুন, অলিগলি যেয়ে গরিবদের ঘরে ঘরে খাদ্য দিয়ে আসুন সেনাবাহিনীর মাধ্যমে। তাহলে চুরি হবে না। মিডিয়ার সামনে সাহায্য দেয়া বন্ধ করুন। কারফিউ / জরুরি অবস্থা জারি করুন/ লকডাউন দিন। ১৪/২১ দিন সব বন্ধ থাকুক। তারপর ও কারো পাছায় চুলকানি থাকলে, বাসার বাহিরে আসলে তাকে পিটিয়ে পাছা লাল করে দিন। আর এই সব না করলে আমি আমার অফিসে যেতে বাধ্য, কারন চাকরি ও বেতন, আমি আক্রান্ত হলে অফিস কিছুই করবে না, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির একসহকমী যে আক্রান্ত হলো তাকে তো এর মধ্যে সবাই ভুলতেই বসেছেন। আমার অবস্থাও তাই হবে। আর মরলে মিডিয়ায় কিছু নিউজ হবে, ব্যাস সব শেষ।

আমার পরিবার আমাকে হারাবে, আমার ওয়াইফ আমাকে হারাবে। কারো কিছু হবে না,আমি পাব না ঠিকমত জানাজা ও গোসল। পরিবার লাশ নিয়ে একটু কান্না কাটিও করতে পারবে না। আল্লাহ পাক না করুক এখনো সতক না হলে, আমরা ইতালি / আমেরিকা হলে আমাদের অবস্থা কি হবে একবার ভাবুন, তারা এতো শক্তিশালী হয়েও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না, আমরা কি ভাবে কি করবো? মহান আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে মাফ করুক আমিন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনিই আমাদের একমাত্র ভরসা আপনি আমাদের জন্য কিছু করুন, সারাদেশের সাংবাদিক সমাজ আপনার দিকে তাকিয়ে আছে তাদের সুরক্ষা ও মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করুন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ আপনার কাছে সেটাই প্রত্যাশা করে।