আজ ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বুধবার সকালে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৯ উদযাপন উপলক্ষ্য সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকাল দেখি শিশুদের মধ্যে নয়, বাবা-মায়েদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বেশি। এই অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে দূরে থাকুন। সারাক্ষণ পড় পড় করলে ছেলে-মেয়েদেরও মন খারাপ হয়।’
তিনি বলেন, ‘শিশুদের ব্রেনের ওপর চাপ দেবেন না। তাদের ওপর চাপ দেয়া উচিৎ নয়। খেলতে খেলতে হাসতে হাসতে পড়া শেখাবেন। শুধু বাইরের খেলা নয়, ঘরে বসেও অনেক খেলা করা যায়। তাছাড়া কম্পিউটারে এখন অনেক খেলার ব্যবস্থা রয়েছে। ছেলে-মেয়েদের বেশি চাপ দিলে শিক্ষার ওপর একটা ভীতি সৃষ্টি হয়।
শিক্ষাটাকে আকর্ষণীয় করার জন্য শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শিশুদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘তোমরা ভালোভাবে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করবে। মানুষের মতো মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে। একদিন তোমরাই হবে এ দেশের কর্ণধার।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিশুদের শিক্ষার জন্য অতিরিক্ত চাপ দেওয়া উচিত না। প্রি-প্রাইমারি এবং প্রাইমারি শিক্ষাকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। পৃথিবীতে এমন অনেক দেশ আছে যেখানে ৭ বছর বয়সের আগে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠায় না। কিন্তু আমাদের এখানে ছোটবেলা থেকেই বাচ্চারা স্কুলে যায়।’
তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম আমরা করে দিয়েছি, এটা পর্যায়ক্রমে সব জায়গায় করে দেব এবং প্রাথমিক শিক্ষা থেকেই কম্পিউটার যাতে শেখা হয়, সে ব্যবস্থাটাও আমরা নেব। মাধ্যমিক থেকে কমপালসারি করা হয়েছে, প্রাথমিক থেকেও আমরা করে দিচ্ছি।’
সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হাসান।
এছাড়া অনুষ্ঠানে জাতীয় শিক্ষা পদক বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষার উন্নয়ন ও সাফল্যের ওপর একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।