আজ ৯ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২৪শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জাবেদ ভূঁইয়া, মিরসরাই প্রতিনিধিঃ মিরসরাইয়ের ওসমানপুর ইউনিয়নের বিন্দাবোনপুর গ্রামের নুরুজ্জামানের বাড়িতে সপ্তাহব্যাপী সর্প-আতঙ্ক। নিত্যদিন সাপের উৎপাতে এ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গ্রামজুড়ে। গত এক সপ্তাহে তার বসতঘর থেকে মারা হয় এক ডজন বিষধর সাপের বাচ্চা।
স্থানীয়রা জানান, গেলো এক সপ্তাহে সাপের বাচ্চার উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। এ সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সবার মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) সকালে ওঝা সর্দার শামসুদ্দিন কবিরাজ এসে ৩ ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে একটি গোখরো সাপ ও ডজন খানেক ডিমের খোসা উদ্ধার করেন।
গৃহকর্তা নুরুজ্জামানের স্ত্রী হোসনে আরা জানান, গত সপ্তাহ থেকে সাপের উৎপাৎ লক্ষ করছেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে খাবার খেয়ে প্রথমে দরজার সামনে একটি সাপের বাচ্চা দেখতে পান, ওই সাপের বাচ্চা মারার পর, ঐদিন সন্ধ্যায় ঘরে আরও দুটি সাপের বাচ্চা ছুটাছুটি করতে দেখে সেগুলোও মেরে ফেলেন। এ ঘটনায় ঘরের লোকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। এরপর থেকে ঘরের সামনের রুমটি পাহারায় রাখেন। পরের দিন আরও একটি সাপের বাচ্চা মারেন। এরপর প্রথমে একজন ওঝা কে খবর দিলে সে এসে আরও দুটি সাপের বাচ্চা উদ্ধার করে বলেন, আর নেই। তবে এতেও থামেনি সাপের উৎপাত। পরের দু’দিনে আরও দুটি বাচ্চা দেখতে পেয়ে সেগুলোও মেরে ফেলেন। এরপরও সাপের উৎপাত না কমায় অভিজ্ঞ ওঝা শামসুদ্দিন নামের আরেক সর্দারকে খবর দেন।
ওঝা সর্দার শামসুদ্দিন কবিরাজ জানান, একটি জীবিত বিষধর সাপ ও এক ডজন বাচ্চা ফোটানো ডিমের খোসা পেয়েছি। তবে আরো সাপের বাচ্চা থাকলেও যে ওষুধ দিয়েছি তাতে আর কোন বাচ্চা জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই। স্থানীয়দের আতঙ্কিত হওয়ারও কোনো কারণ নেই।
নুরুজ্জামানের ছেলের শ্যালক মাঈন উদ্দিন জানান, একি বাড়িতে গত ৭/৮ বছর আগে একটি অজগর দেখা যায়। পরে উপজেলা বন কর্মকর্তাদের জানালে তারা উদ্ধার করে নিয়ে যায়।