আজ ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
চন্দনাইশ প্রতিনিধি:
১২ রবিউল আউয়াল আল্লাহর প্রিয় হাবীব নূর নবীর আগমন উপলক্ষ্যে ছৈয়দ মোহাম্মদ পাড়া রহমানিয়া আহমদিয়া এ, এস সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা, এতিমখানা ও হেফজখানা পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে গত শনিবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৮ ঘটিকায় চন্দনাইশ পৌর এলাকার দক্ষিণ গাছবাড়িয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে ছৈয়দ মোঃ পাড়া, সর্বল কাজী পাড়া, শাহের মোঃ পাড়া, ফকির পাড়া, নয়া পাড়া, বদলর কলঘর, দক্ষিণ জোয়ারা জিহস ফকির পাড়া, আবদুল বারী হাট, হরিণার পাড়া, বুলার তালুক, ছাদেক মোঃ পাড়া সাহিত্যিক পাড়া হয়ে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এসে জশনে জুলুছে ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (সঃ) ও বর্ণাঢ্য র্যালি এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আলহাজ্ব অধ্যাপক মো. তৈয়বুর রহমানের সভাপতিত্বে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য ও চন্দনাইশ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল আলমের সঞ্চালনায় মাদ্রাসা কমিটির সহ-সম্পাদক মোঃ আবদুর রশিদ, সদস্য নুর মোহাম্মাদ, সদস্য কাজী মোঃ হোসাইন, আওয়ামী লীগ নেতা কাজী মোস্তাফিজুর রহমান ফখরু, আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, মফিজুর রহমান, মীর আহমদ, প্রবাসী মোস্তাক আহমদ, এতিমখানা ও হেফজখানার প্রধান হাফেজ মওলানা মোঃ জাহেদুল ইসলাম, শায়ের মিজানুর রহমান, শায়ের জিসান, শায়ের রাহাত, মাওলানা আবদুর ছবুর, মাওলানা মোঃ আক্কাস, মাওলানা মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, মাওলানা রিফাত, মাওলানা মোহাম্মদ আবু ছিদ্দিক, মাওলানা মোহাম্মদ যাবের, মঈনুদ্দিন, হাবিব, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মোশাররফ হোসেন মিশু, নুর হোসেন, ইয়াছিন আরাফাত, মোঃ তারেক, রায়হান, শাহেদসহ মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
জশনে জুলুছে ও বর্ণাঢ্য র্যালিতে পতাকা বহন করেন শিক্ষার্থীরা এবং মাদ্রাসার ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করেন। জশনে জুলুছে ও বর্ণাঢ্য র্যালি শেষে মাদ্রাসা চত্বরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা, মিলাদ, কিয়াম ও মোনাজাতের মধ্যদিয়ে পরিসমাপ্তি ঘটে। মিলাদ, কিয়াম, মোনাজাত পরিচালনা করেন মাদ্রাসা শিক্ষক মওলানা মোঃ ইয়াছিন আরাফাত রুবেল।
বক্তারা বলেন, প্রিয় নবী করিম (দ.) দুনিয়ায় আগমন করে ঈমানী আহ্বানে যে ভাবে বিশ্বের সকল জাতিকে ও সকল ধর্মের হানাহানি থেকে মুক্ত করে শান্তির পরশ দিয়েছিলেন ঠিক ওই শিক্ষাকে গ্রহণ করে আমাদেরকে দ্বীনি খেদমতে এগিয়ে যেতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, প্রিয় নবীজির (সা.) শুভাগমনে আল্লাহপাক ফেরেশতাদের নিয়ে ঊর্ধ্বাকাশে জুলুছ করেছিলেন, যা কোরআন-হাদিসের আয়াত দ্বারা প্রমাণিত। এ ছাড়াও এটি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে, এ জুলুছ নতুন কিছু নয়। দিন দিন জুলুছে লোক সমাগম বাড়ছে, এটা নবীপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ। রাষ্ট্রীয়ভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদ্যাপন করায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বক্তারা।