আজ ২০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাজিব হোসেন বলেছেন, লেখককে মূল্যায়ণের মাধ্যমে ইতিহাসকে জানতে হবে। চট্টগ্রাম একটি চমৎকার উর্বর জায়গা। এখানে অনেক জ্ঞানী-গুণী মানুষ জন্ম গ্রহণ করেছেন। যারা সাহিত্য সংস্কৃতি এবং রাজনীতিতে অনেক এগিয়ে। দেশ গঠনে চট্টগ্রামের ভূমিকা অপরিসীম। ইসলাম একটি সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম এটা আমরা জানি। কুরআন হাদিসের প্রত্যেকটা আয়াত এবং হাদিস যদি আমরা আমল করি তাহলে তার মধ্যে আমাদের জন্য সুন্দর আর্দশ রয়েছে। যারা লেখক রয়েছেন তাদেরকে মূল্যায়ন করতে হবে, উৎসাহিত করতে হবে। যাতে ইতিহাস ঐতিহ্য নতুন প্রজন্ম জানতে পারে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, লাইব্রেরী ইত্যাদীতে চন্দনাইশের আউলিয়া কেরাম ও ওলামা মশায়েখ বইটি থাকলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলে উপকৃত হবে।
চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার আউলিয়া কেরাম সম্পর্কে ইতিমধ্যে কয়েকটি উপজেলার আউলিয়া কেরাম ও ওলামা মশায়েখের জীবনী তিনি লিখেছেন। তিনি চট্টগ্রামের সব উপজেলার আউলিয়াকেরাম সম্পর্কে লেখা অব্যাহত রেখেছেন। পুরো চট্টগ্রামকে ঘিরে পান্ডুলিপি ছাপানো হলে আরো সুন্দর হবে এবং একই বহিতে পুরো চট্টগ্রামের আউলিয়া সম্পর্কে পাঠকগণ জানতে পারবে। তার লেখনি অব্যাহত রাখায় তার কাছ থেকে আরো ইতিহাস সমৃদ্ধ শিক্ষা জানা যাবে। তার এই মহৎ উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি।
১৮ নভেম্বর সকাল ১০ ঘটিকায় উপজেলা কনফারেন্স রুমে এনুমিয়া আয়শা খাতুন ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত চন্দনাইশ প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা, শিক্ষাবীদ মাওলানা মোহাম্মদ মোজাহেরুল কাদের এর রচিত ২৫ তম প্রকাশনা চন্দনাইশের আউলিয়া কেরাম ও ওলামা মাশায়েখ গ্রন্হের প্রকাশনা উৎসবে ইউএনও প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
লেখকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজিব হোসেন।মুখ্য আলোচক ছিলেন, সুপ্রিম কোর্ট বার মসজিদ ঢাকার খতিব, মুফাসসিরে কুরআন পীরজাদা কারী খন্দকার মুহাম্মদ শহিদুল হক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, চন্দনাইশ থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইমরান আল হোসাইন,উপজেলা প্রকৌশলী জুনায়েদুল আবছার, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা রাসেল চৌধুরী, ইউআরসি প্রশিক্ষক আক্তার সানজিদা জাফর পপি, উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপার ভাইজার বিপিন চন্দ্র রায়, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার তপন পোদ্দার।
বিশিষ্ট ছড়াকার ও লেখক সৈয়দ শিবলী সাদিক কফিলের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন ইসলামী ব্যাংক চন্দনাইশ শাখার ম্যানেজার মো. এনামুল হক, ইসলামী ব্যাংক দোহাজারী শাখার ম্যানেজার আতিকুল্লাহ ইসলামাবাদী, চন্দনাইশ সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নজরুল ইসলাম, দোহাজারী আ. রহমান হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাফর আহমদ, পিপিএস এর পরিচালক নুরুল হক, কাজী কুতুব উদ্দিন, ওডেব এরিয়া ম্যানেজার মো. মাহাম্মদুল হক, আয়েশা আক্তার আজাদী, কহিনুর আক্তার প্রমুখ।এসময় উপস্থিত ছিলেন, পীরজাদা মোহাম্মদ হাবিব, দারুল ইহসান ইসলামিক সেন্টার ট্রাস্টের পরিচালক আলহাজ্ব এ.কে.এম নজরুল ইসলাম, ফাতেমা জিন্নাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ওসমান আলী, সাংবাদিক আবুল হাশেম, সাংবাদিক মোকতার আহমদ, সাংবাদিক হামিদুর রহমান সাকিল, অবসর প্রাপ্ত পুলিশ অফিসার মো. শফি, শাহাবুদ্দিন।অনুষ্ঠানে মিলাদ ও কিয়াম পরিচালনা করেন সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। পরিশেষে দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।