আজ ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
হিন্দু ছাত্র মহাজোটের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট পলাম কুমার রায়কে পঞ্চগড় জেলা কারাগারে শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুনে জ্বালিয়ে হত্যা করার প্রতিবাদে ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের উদ্যোগে গত ০৩ মে,শুক্রবার সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন করে।
হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডঃ দীনবন্ধু রায়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সহ সভাপতি ডাঃ এম কে রায়, প্রদীপ পাল, মিঠুরঞ্জন দেব, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব উত্তম দাস সাংগঠণিক সম্পাদক অধ্যাপক সুব্রত দাস, আর্ন্তজাতিক সম্পাদক রিপন দে, মহিলা মহাজোটের সভাপতি প্রীতিলতা বিশ্বাস, ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সভাপতি আ্যাডঃ রণি ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল ঘোষ, যুব মহাজোটের সভাপতি কিশোর বর্মন, নির্বাহী সভাপতি প্রদীপ শঙ্কর, সিনিয়র সহ সভাপতি অপূর্ব কুমার পাল, প্রধান সমন্বয়কারী প্রশান্ত হালদার, সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার মাহাতো, সাংগঠণিক সম্পাদক প্রদীপ সরদার, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি নিউটন পন্ডিত, সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় দেবনাথ, ছাত্র মহাজোটের সভাপতি সাজেন কৃষ্ণ বল, সাধারণ সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বারুরী প্রমুখ। উক্ত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,
অ্যাডঃ পলাশ কুমার রায় সৎ, আদর্শ ও অন্যায়ের সাথে আপোষহীন ছিলেন। কোহিনূর কোম্পানীতে লিগ্যাল এ্যাডভাইজার হিসেবে থাকাকালে অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি এবং কোম্পানীর অনৈতিক কর্মকান্ড সর্বসমক্ষে তুলে ধরার কারনে তাকে সেই সময় গুম করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
তিনি গত উপজেলা নির্বাচনে পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার প্রার্থী ছিলেন। সেখানে আওয়ামী প্রার্থী পক্ষের লোক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কুটুক্তির মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে পুলিশ তাকে পুনরায় গ্রেফতার করে। গত ২৬ এপ্রিল সকালে কারাগারের ভেতর দুই ব্যাক্তি টয়লেটের কাছ থেকে তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। চিৎকার করা অবস্থায় কারা রক্ষীরা এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে। ততক্ষনে তার দেহের বেশীরভাগ অংশ পুড়ে যায়। অগ্নি দগ্ধ অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। ৩০ এপ্রিল ১.৪৫ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। উক্ত মানববন্ধনে বক্তারা,তদন্তপূর্বক পলাশের প্রকৃত খুনীদের শনাক্ত করে অতিদ্রুত আইনের আওতায় এনে দোষীদের যথাযথ শাস্তি কামনা করেন।
