আজ ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এস,এন,কায়সার জুয়েল
কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের টেকনাফ কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মো. শামসুল আলম হত্যার ৮ বছরেও শেষ হয়নি বিচার কার্যক্রম। ইতোমধ্যে সকল আসামী জমিনে মুক্তি পেয়ে মামলার বাদি নিহতের স্ত্রী দিলসাদ বেগমকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। একই সঙ্গে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে মামলার সাক্ষীসহ নিহতের স্বজনরা।
২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর বিকালে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল কলেজ শিক্ষক মো. শামসুল আলমকে। তিনি টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ার মৃত ফজল করিমের ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর ফরিদুল আলম জানান, অধ্যাপক শামসুল আলম হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এখন সাক্ষি গ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে। মামলার বাদি এবং সাক্ষীরা যদি সহযোগিতা করে কয়েক মাসের মধ্যে এই মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব।
মামলার বাদি দিলসাদ বেগম জানান, এই ঘটনায় ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে টেকনাফ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে পরের বছর পুলিশ ৩২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। যেখানে ৩ জনকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
পাবলিক প্রসিকিউটর ফরিদুল আলম জানান, এ মামলার এজহারে অভিযুক্ত ৬ নম্বর মৃত তমিজুর রহমানের পুত্র শাহাব উদ্দিন, শাহাব উদ্দিনের ২ ছেলে আলা উদ্দিন ও রিয়াজ উদ্দিনকে অব্যাহতি প্রদান করা হলে ৩২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। অভিযুক্ত আসামীর কেউ বর্তমানে কারাগারে নেই।
দিলসাদ জানান, জামিনে মুক্তি পাওয়া মো. হাসান ইতোমধ্যে মারা গেছেন। ঘটনার ৮ বছরে বিচার বিলম্বিত হওয়ায় সাক্ষীসহ তিনি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
টেকনাফ কলেজের অধ্যাপক সন্তোষ কুমার শীল জানান, একজন শিক্ষককে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার ৮ বছরেও এ মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া দুঃখজনক। একজন সহকর্মী শিক্ষক হিসেবে রাষ্ট্রকে বিচার নিশ্চিত করার আবেদন জানাচ্ছি।