আজ ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মহিউদ্দীন চৌধুরী,ষ্টাফ রিপোর্টার:
পটিয়ায় দীর্ঘ ৪ বছর ধরে স্ত্রী, প্রসূতি ও শিশুরোগের ডাক্তার পরিচয়ে উপজেলার শান্তির হাটে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন তাহেরা বেগম(৪৪)। নিয়মিত চেম্বার পরিচালনা করে প্রতিদিন রোগী প্রতি নিতেন ২শ টাকা। ডাক্তার না হয়েও ডাক্তারের পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ভুল চিকিৎসা করে আসলেও অধরায় ছিলেন তিনি। অবশেষে আর রক্ষা হলোনা তার।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্লাবণ কুমার বিশ্বাস অভিযান পরিচালনা করে হাতে নাতে ধরেন ভূয়া ডাক্তার তাহেরা বেগমকে। গ্রেফতারকৃত তাহেরা বেগম উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের সাততেতৈয়া এলাকার মৃত নুরুজ্জামান এর কন্যা। এসময় তার কাছ থেকে একটি মুচলেখা ও মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৯(১) ধারা লঙ্গনের অপরাধে উক্ত আইনের ২৯(২) ধারায় ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্লাবণ কুমার বিশ্বাস জানান, আমাদের কাছে তথ্য ছিল তাহেরা বেগম ডাক্তার না হয়েও দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী, প্রসূতি ও শিশুদের চিকিৎসার নামে প্রতারণা করছেন। তিনি নিজেকে আর.এমপি(ঢাকা), ডি.এম.এস (ঢাকা). এম.ডবিøউ জে.আর.সি.এম.এইচ), ও.পি.ডি, ইনচার্জ জেমিসন রেড ক্রিসেন্ট মাতৃসদন হাসপাতাল, আন্দরকিল্লা এর পরিচয় দিয়েছেন। আমরা তাকে হাতে নাতে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করি প্রথমে শিকার না করলেও পরে তিনি শিকার করেন তিনি একজন ভূয়া ডাক্তার। তার কাছে কোন প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট নেই। যেহেতু তিনি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে এ কাজ করছেন তাই ভবিষ্যতে সে যাতে এই ধরনের কাজ আর না করে তার জন্য একটি মুচলেখা ও এক লক্ষ টাকা জরিমানা করি।
অভিযান পরিচালনাকালে আরো উপস্থিত ছিলেন, পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ডাক্তার সাজ্জাদ ওসমান, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ শাহে এমরান, উপজেলা ভূমি অফিসের পেশকার সুদীপ্ত দাশ ও পটিয়া থানার এস আই ইয়াছিন মাহমুদ ও এনএসআই চট্টগ্রাম জেলার একটি টীম।