আজ ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মো. শহীদুল ইসলাম, সাতকানিয়াঃ বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। নানা ধর্ম -বর্নের মানুষ এক সাথে বসবাস করে আসছে এই দেশে। বর্তমানে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশের রোল মডেল হিসাবে পরিচিত। এদেশের বিভিন্ন ধর্মের মানুষ একত্রে তাদের ধর্মানুষ্ঠান পালন করেন।
দূর্গা পুজা হিন্দুদের সবচাইতে বড় ধর্মিয় অনুষ্ঠান। প্রতি বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে দূর্গা পুজার ছুটি ৭ থেকে ১০ দিন করা হয়। কিন্তু এ বছর ব্যতিক্রম। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ষষ্ঠী থেকে দশমি দূর্গা পুজার আনন্দ উপভোগ করে। কিন্তু এ বছর অষ্টমী থেকে ছুটি দেয়া হয় দশমী পর্যন্ত মোট ৩দিন ছুটি দেয়া হয়।
বাংলাদেশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক অসীম বিশ্বাস বলেন, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ে ছুটি সমন্বয় করা প্রয়োজন। কারন শহরে বা কোন আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যাওয়ার সুযোগ থাকেনা। কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি দূর্গাপুজার ছুটি ৩ দিনের পরিবর্তে ৭ দিন করার পূর্ননির্ধারনের দাবী জানান।
মরফলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম চক্রবর্ত্তী বলেন, “এবারের দূর্গাপুজার ছুটি কম এবং মনসা পুজার কোন ছুটি নেই। তিনি আরও জানান সংরক্ষিত ছুটি প্রধান শিক্ষকের হাতে থাকলেও তা ভোগ করার ক্ষমতা আমাদের নেই।”
এদিকে ফেসবুকে বিভিন্ন ব্যক্তি লিখেছেন,অন্যান্য বছর যেখানে ১০ থেকে ১৫ দিন ছুটি পাওয়া যেত সেখানে ২০১৯ সালে মাত্র ৩ দিন। সরকারের কাছে ছুটি বাড়ানোর অনুরোধ জানাচ্ছি।
বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের প্রত্যাশা আসন্ন দূর্গা পুজা হিন্দুদের সবচাইতে বড় ধর্মিয় অনুষ্ঠান। দূর্গাপূজাই এক মাত্র সার্বজনীন অনুষ্ঠান যেখানে সকল ধর্ম-বর্নের মানুষ ৫ দিন ব্যপি অনুষ্ঠান পালন করেন। হিন্দুরা ধর্মিয় দিক থেকে এদেশের দ্বিতীয় সংখ্যগরিষ্ঠ জাতি। সুতরাং এই বৃহৎ অনুষ্ঠানটিতে কমপক্ষে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হোক।