আজ ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আব্দুল ওয়াহাব বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ফরজানা ইয়াছমিন কলি (২০) নামের ৭মাসের গর্ভবতী এক মহিলার লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে পালিয়েছে শশুরবাড়ির লোকজন।লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় নিহতের শাশুড়িকে আটক করেন স্থানীয়রা।
রবিবার (১৮জুলাই) আনুমানিক রাত ৮ টায় লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পূর্ব মাইজবিলা মেস্ত্রীর বরবাড়ীতে এঘটনাটি ঘটে।
নিহতের ফরজানা ইয়াছমিন কলি (২০) উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজবিলা এলাকার জিয়াউর রহমানের স্ত্রী এবং চরম্বা ১নং ওয়ার্ড আতিয়ার পাড়া এলাকার প্রবাসী আজিজ মাস্টারের কন্যা।
নিহত কলির চাচা মতিউর রহমান জানান, তাঁর ভাতিজি আহত হয়েছে বলে খবর পেয়ে তাঁরা হাসপাতালে এসেছে।হাসপাতালে এসে দেখেন সেখানে তাঁর ভাতিজির লাশটি রেখে স্বামী সহ শাশুর বাড়ির লোকজন সবাই পালিয়ে গেছে।
পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, আড়াই বছর পুর্বে সামাজিকভাবে তাদের বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের কোন সন্তান ছিলনা। মেয়েটি বর্তমানে ৭মাসের গর্ভবতী।
নিহতের কলির মা রিজিয়া বেগমের দাবি তাঁর মেয়েকে বিয়ের পর থেকে স্বামী নির্যাতন করে আসছিল। তাঁর মেয়েকে স্বামী জিয়াউর রহমান এবং তাঁর শাশুড়ি মিলে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে, অন্যদিকে শাশুড়ি রাজিয়া বেগমের দাবি বাড়ীর টয়লেটে অজ্ঞান অবস্থায় পুত্রবধূকে দেখতে পান তিনি। সাথে সাথে চিৎকার দিলে আশপাশ লোকজন এগিয়ে এসে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকারিয়া রহমান জিকু, লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ জাকের হোসাইন মাহমুদসহ একটি পুলিশি টিম।
অফিসার ইনচার্জ জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, কলির মৃত্যু রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকারিয়া রহমান জিকু জানান, ঘটনাটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছেনা। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানোর পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।