আজ ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মহিউদ্দীন চৌধুরী,ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের কথিত এক ‘ছাত্রলীগ নেতা’র ঘরে পাওয়া গেল সোয়া এক লাখ পিস ইয়াবা— যার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ওয়াইজ উদ্দিন চট্টগ্রাম কলেজের ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তার সঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছেন ভগ্নিপতি রমিজ উদ্দিনও।
চট্টগ্রামের র্যাব-৭ সোমবার (৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের পূর্ব উজানটিয়ায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
জানা গেছে, ওয়াইজ উদ্দিন চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের কোনো পদে না থাকলেও তিনি নিজের পরিচয় দিতেন ‘ছাত্রলীগ নেতা’ হিসেবে। চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের মিছিলে তাকে দেখা যেতো।
রাজনীতির আড়ালে তিনি ছিলেন পাকা মাদকব্যবসায়ী। ওয়াইজ উদ্দিন (২৪) পূর্ব উজানটিয়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে। তার ভগ্নিপতি রমিজ উদ্দিন (৩৪) চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউপির আবু তাহেরের ছেলে। ১ লাখ ১৬ হাজার ৩০০ ইয়াবাসহ এই দুজনকে আটক করে র্যাব-৭।
স্থানীয়রা জানান, পেকুয়ার শরীফ সোহেল নামের কথিত এক সাংবাদিকসহ চক্রটি দীর্ঘদিন মাদকের ব্যবসার সাথে জড়িত। সোহেল এর আগেও কুমিল্লা চান্দিনার ছয়ঘরিয়া এলাকা থেকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়েছিলেন।
র্যাব-৭ জানিয়েছে, গোপন সংবাদের মাধ্যমে তারা জানতে পারে কক্সবাজারের পেকুয়ার পূর্ব উজানটিয়া এলাকায় কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী মাদক বেচাকেনার উদ্দেশ্য নিয়ে অবস্থান করছে। এই খবর পেয়ে ৯ আগস্ট রাত সাড়ে ১০ টার দিকে র্যাব-৭ এর একটি দল ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সুকৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে রমিজ উদ্দিন ও ওয়াইজ উদ্দিনকে আটক করে।
পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেয়া তথ্যমতে বসতঘরের ভেতর খাটের নিচে প্লাস্টিকের বস্তায় বিশেষ কায়দায় রাখা ১ লাখ ১৬ হাজার ৩০০ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা এসব মাদকের মূল্য প্রায় ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে পরবর্তীতে তা কক্সবাজারসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে আসছে।
ওয়াইজ উদ্দিনের পরিচিতি রয়েছে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক এইচএম শওকতের অনুসারী হিসেবেও।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ বলেন, করোনাকালে অনেকদিন কলেজ বন্ধ। ওর সাথে অনেকদিন আমার যোগাযোগই নেই। কেউ অনৈতিক কাজে জড়িত হলে দায়ভার ছাত্রলীগের নয়। ‘