আজ ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান (চট্টগ্রাম) :চট্টগ্রামের রাউজানের পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের সরকার পাড়া গ্রামে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে রক্ষাকালী মন্দিরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও অষ্টপ্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়েছে।১৬ ও ১৭ মার্চ রক্ষাকালী মন্দির প্রাঙ্গনে দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে ছিল মাতৃকা পূজা,ধর্মীয় সঙ্গীতানুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান, সম্মাননা প্রদান ও অষ্টপ্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞ। রক্ষাকালী মন্দির মহোৎসব পরিচালনা কমিটির সভাপতি মিলন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে ও অর্থ সম্পাদক শেখর ঘোষ আপনের সঞ্চালনায় ১৬ মার্চ ধর্মীয় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আশালতা কলেজ পরিচালনা পরিষদের সাবেক সভাপতি চিত্রা রাণী দে। মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলক ছিলেন, চিকিৎসক ও সমাজ হিতৈষী ডাঃ হরিপদ চক্রবর্তী।
সংবর্ধেয় অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সনাতনী সমন্বয় পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি টিটু তালুকদার, অগ্রনী ব্যাংক চট্টগ্রাম সার্কেলের সাবেক জোনাল ম্যানেজার তাপস সরকার। স্বাগত
বক্তব্য রাখেন রক্ষাকালী মন্দির মহোৎসব পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ প্রসাদ মহাজন। বক্তব্য রাখেন, মহোৎসব পরিচালনা কমিটির সহ সভাপতি শ্যামল মহাজন, সহ অর্থ সম্পাদক জিকু মহাজন, সহ সাধারণ সম্পাদক সাজু দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল সরকার।
অতিথি ছিলেন, পশ্চিম গুজরা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অজিত বিশ্বাস, মহিলা ইউপি সদস্য লাকী মহাজন, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ দক্ষিণ রাউজান শাখার সভাপতি চন্দন কুমার বিশ্বাস, রক্ষাকালী মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি অসিত চৌধুরী, পূজা উদযাপন পরিষদ পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক টুটুন মহাজন,রক্ষাকালী মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সপু ঘোষ।
উপস্থিত ছিলেন নেপাল কর, খোকন ভট্টাচার্য, উত্তম ভট্টাচার্য, সৈকত ঘোষ, অমিত ঘোষ, সুভাষ চৌধুরী, ঝুন্টু ঘোষসহ মন্দির পরিচালনা কমিটি, গীতা শিক্ষা কমিটি দক্ষিণ রাউজান শাখা ও মহোৎসব পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ।সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন রকি বিশ্বাস। মহোৎসব উপলক্ষে এলাকায় ব্যাপক সাজসজ্জাকরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ প্রসাদ আস্বাদন করেন।
রক্ষাকালী মন্দির মহোৎসব পরিচালনা কমিটির সভাপতি মিলন কান্তি ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক সপু ঘোষ ও অর্থ সম্পাদক শেখর ঘোষ আপন জানান, দুই দিনব্যাপী উৎসবে এলাকা ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে কয়েক হাজার নারী-পুরুষের সমাগম উৎসবকে প্রাণবন্ত করে তোলে। উৎসবে মন্দির উন্নয়নসহ মহতি কাজে অবদান রাখায় বেশ কয়েকজন সমাজহিতৈষী ব্যক্তিবর্গদের সংবর্ধিত করা হয়।