আজ ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মধ্যপ্রাচ্যসহ মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে আগামী বুধবার (১০ এপ্রিল) দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশসহ প্রায় ৬০ গ্রামে ঈদ উদযাপিত হবে। সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরীফ ও চন্দনাইশের জাঁহাগিরিয়া শাহ ছুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের অনুসারীরা এদিন ঈদ উদযাপন করবেন। ইতোমধ্যে ঈদের জামাত আদায়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে দরবার শরীফ কর্তৃপক্ষ। দরবার শরীফের অনুসারীরা বিশ্বের কোথাও চাঁদ দেখা সাপেক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও একদিন আগে ৩০ রোজা পূর্ণ করে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করবেন।
জানা যায়, সুফি সাধক সৈয়্যদ মাওলানা মোখলেসুর রহমান জাঁহাগিরি (র.) ২০০ বছরের অধিক সময় থেকে বিশ্বের কোথাও চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রোজা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহার নামাজসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করার নিয়ম প্রর্বতন করেন। সেই থেকে এ নিয়ম মেনে আসছেন তার ভক্ত ও অনুসারীরা। এবার ৩০ রোজা পূর্ণ করে ১০ এপ্রিল (বুধবার) ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের জন্য প্রস্তুতি শেষ করেছে দরবার শরীফ কর্তৃপক্ষ।
সাতকানিয়ার মির্জারখীল দরবার শরীফের সৈয়্যদ মাওলানা আবদুর রহমান শাহ জাহাঁগিরী ও চন্দনাইশ কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের জাহাঁগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবারের শাহজাদা মাওলানা মো. মতি মিয়া মনসুর জানান, আমরা হানাফী মাযহাবের অনুসারী হিসেবে বিশ্বের কোথাও চাঁদ দেখা সাপেক্ষে সুফি সাধক সৈয়্যদ মাওলানা মোখলেসুর রহমান জাঁহাগিরী দেখানো পথ অনুসরণ করে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করছি।
চন্দনাইশ জাঁহাগিরীয়া শাহছুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফ সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রদর্শিত এ পথ অনুসরণ করে দক্ষিণ চট্টগ্রামের যেসব গ্রামে ঈদুল ফিতর পালন করবেন সেগুলোর মধ্যে চন্দনাইশ পৌরসভার বুলার তালুক, হরিনার পাড়া, ফকির পাড়া, সর্বল কাজী বাড়ি, চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, কানাইমাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, বরমা,ধোপাছড়ি , দোহাজারি, জামিজুরি, মোহাম্মদপুর,পশ্চিম এলাহাবাদ, উত্তর কাঞননগর, জুনিঘোনা, আব্বাসপাড়া, মাঝের পাড়া, দিঘির পাড়া, পন্ডিত বাড়ী,মোস্তা আলী শাহ,কেন্দুয়াপাড়া, কেশুয়া, মোহাম্মদপুর, উত্তর হাশিমপুর, ছৈয়দাবাদ, খুনিয়ারপাড়া, শ্রীমাই, হাইদ গাও, ফকির পাড়া,রুপকানিয়া, জলদী, গুনাগরি, কালিপুর, গন্ডামারার, মিরিঞ্জিরতলা, ছনুয়া, সাধনপুর, তৈলারদ্বীপ, বাথুয়া, বারখাইন, চরণদ্বীপ, খরণদ্বীপ, বড়হাতিয়া, চুনতি, পুটিবিলা, উত্তর সুখছড়ি, বাংলাবাজার, মইশামুড়া, খোয়াছপাড়া, বাজালিয়া, কাঞ্চনা, গাটিয়াডাঙ্গা, পুরানগড়, মনেয়াবাদসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের লক্ষাধিক অনুসারীগণ ঈদুল ফিতর নামাজ আদায় করবেন বুধবার।
এ ছাড়া বোয়ালখালী, হাটাহাজারী, রাংগুনিয়া, রাউজান, আনোয়ারা, বাশখালী, পটিয়া, কর্ণফুলি, সন্দীপ, ফটিকছড়ি, আলীকদম, নাইক্ষংছড়ি, কক্সবাজার, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, হাতিয়া, নোয়াখালী, চাঁদপুর, ফেনী, মিরসরাই, লক্ষীপুর, সীতাকুণ্ড, কুমিল্লা, সিলেট, মৌলভীবাজার, ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুণা, ঝালখাটি, চাঁদপুর, নলসিটি, খুলনা, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, সিরাজগঞ্জসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলাসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যেখানে মির্জাখীল ও জাহাঁগিরিয়া শাহছুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের অনুসারী রয়েছেন তারাও ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করবেন বলে জানা গেছে।
বুধবার জাহাঁগিরীয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবারের সৈয়্যদ মাওলানা মোহাম্মদ আলীর ইমামতিতে ১ম জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় ও দরবারের শাহজাদা মাওলানা মো. মনজুর আলীর ইমামতিতে ২য় জামাত সকাল ৯টায় ইদগাহ ময়দানে ইদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া মির্জাখীল দরবার শরীফের সৈয়্যদ মাওলানা আবদুল হামিদ শাহ’র জাহাঁগিরী (নুরুল আরেফিন) ইমামতিতে মির্জাখীল দরবার শরীফে সকাল ১০টায় ও সৈয়দ ড. মাওলানা মাকসুদুর রহমানের ইমামতিতে সকাল সাড়ে ৯টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।