আজ ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৩০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নিজস্ব সংবাদদাতা (চট্টগ্রাম)চ ট্টগ্রামের সেতুর ‘টোলপ্লাজা-কাণ্ডে’ কী ঘটেছিল, সেদিন বিএনপি নেতার সঙ্গে? পুরো ঘটনার বর্ণনা দিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপি সাবেক প্রচার সম্পাদক ও লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নাজমুল মোস্তফা আমিন।
তিনি বলেন, দীর্ঘ যানজটের কবলে চরম ভোগান্তিতে শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) জুমার নামাজ আদায় করতে না পেরে ক্ষুব্ধ মুসল্লিরা উত্তেজিত হয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছিল। আমি তাদের আমার রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে বিশৃঙ্খলা থেকে বিরত রাখি। আমি হামলা থেকে দেশের সম্পদ বাঁচাতে গিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি।
তিনি বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবনে জ্ঞাতসারে কারোরই ক্ষতি করেছি মনে হয় না। সেদিন কাউকে মারধর, চড়থাপ্পড় কিংবা শারীরিক নির্যাতন, কম্পিউটারে আঘাত করারও কোনো ঘটনা ঘটেনি। এমনকি ওই সময় গাড়ি বহরে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনও ছিলেন না। বরং টোল আদায়ের ধীরগতির বিষয়টির কারণে জনরোষ থেকে বাঁচাতে, নিজের পকেটের টাকা তাদের ক্যাশেবক্সে ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম।
এদিকে দীর্ঘ দু’মাস ধরে, কর্ণফুলী সেতুর টোলবক্সে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। কর্ণফুলী সেতুর টোলবক্স কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে, তারা গাড়ি চলাচলের অতিরিক্ত চাপকেই দুষছেন। তারা বলছেন, গ্রামের অতিরিক্ত সিএনজি অটোরিকশা শহরে ঢোকার কারণেই হঠাৎ এমন বাড়তি চাপ।
চট্টগ্রামে টোলপ্লাজা কাণ্ডের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বিএনপি নেতা নাজমুল মোস্তফা আমিন বলেন, রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা থেকেই সেদিন গাড়ি থেকে নেমে, শাহ আমানত সেতুর টোলপ্লাজায় ঢুকি। টোল আদায়ে ধীরগতির কারণে জুমার নামাজে দেরি হওয়ায়, সেসময় অন্যদের সঙ্গে নিজেও উদ্বিগ্ন ছিলাম। টোলপ্লাজার এক কর্মচারীকে লাঞ্ছিতের বিষয়টি ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, উত্তেজিত জনতার জনরোষ নিয়ন্ত্রণ করতেই ওই কর্মচারীকে নিজেই কড়া কথা বলি। আমি তার গায়ে হাত দিইনি। টাকাটা দিয়ে জাস্ট ড্রয়ারটা বন্ধ করেছি।
ঘটনার সময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের গাড়িবহরে ছিলেন না বলে জানান নাজমুল৷ তিনি জানান, ওই সময় মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের গাড়িবহর ছিল না। তিনি টোলপ্লাজা অতিক্রমের ঘণ্টারও বেশি সময় পর চট্টগ্রাম শহর থেকে সাতকানিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে তৃতীয় কর্ণফুলী সেতুর টোলপ্লাজায় টোল আদায়ে ধীরগতিসহ ভোগান্তির অভিযোগ বেশ পুরনো। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার টোলপ্লাজা ঘিরে ভয়াবহ রূপ নেয় যানজট। এসব দিনে পর্যটকসহ ঘরমুখী মানুষের সংখ্যা বেশি থাকে। এতে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সসহ তীব্র দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে।