আজ ৩রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মহেশখালীতে টোকেন বাণিজ্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন যায়যায়দিন পত্রিকার মহেশখালী প্রতিনিধি, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (BMSF) এর কেন্দ্রীয় নেতা ও মহেশখালী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান খান। এ ঘটনায় মহেশখালী থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহেশখালী থানার ওসি কাউচার হামিদ । এর আগে সন্ধ্যায় উপজেলা মাতারবাড়ি নতুন বাজার চত্বরে অবস্থানকালে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন তিনি।
জানা যায়, মাতারবাড়ি স্কুল মাঠে মাননীয় ধর্ম উপদেষ্টার নিউজ কভারের শেষে মাতারবাড়ি টমটম লাইনের মহেশখালী উপজেলার সভাপতি ও বিএনপি নেতা আতা উল্লাহ বোখারী লালিত সন্ত্রাসী ইয়ার খাঁন ও আইয়ুবের নেতৃত্বে ১০/১৫ জনের সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা মারধর ও মোবাইল সহ টাকা ছিনিয়ে নেন।
সাংবাদিক ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান খান জানান, পেশাগত দায়িত্ব পালনের শেষে মাতারবাড়ি নতুন বাজার চত্বরে ডেকে নিয়ে, গত ২০১৪ সালের ১নভেম্বর প্রকাশিত দৈনিক আজকের দেশ-বিদেশ পত্রিকার প্রতিবেদন “মহেশখালীতে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে টোকেন বাণিজ্যের অভিযোগ ” শিরোনামে সংবাদ সম্মেলনের নিউজটি আমার ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডিতে শেয়ার করলে মহেশখালী বিএনপি নেতা ও পরিবহন সিন্ডিকেটের মালিক আতা উল্লাহ বোখারীর লালিত সন্ত্রাসীরা ডেকে নিয়ে মারধর করেন।
এ ঘটনায় মহেশখালী কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা ওসি কাউচার হামিদের সঙ্গে দেখা করে সন্ত্রাসী আইয়ুব ও ইয়ার খাঁন সহ জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য দাবি জানান।
এদিকে সাংবাদিক হাফিজুর রহমানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা।
মহেশখালী থানার ওসি কাউচার হামিদ বলেন, এ ঘটনায় সাংবাদিক হাফিজুর রহমানের একটি এজাহার জমা দিয়েছেন। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আতা উল্লাহ বোখারী সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ করলে কল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।