আজ ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মো. নুরুল আলমঃ
চন্দনাইশ উপজেলার শত বর্ষের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গাছবাড়িয়া নিত্যানন্দ গৌরচন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের র্দীঘ ৩৩ বছরের প্রবীণ শিক্ষিকা মিসেস লক্ষ্মী রাণী ভট্টাচার্য্যরে অবসর গ্রহণ উপলক্ষ্যে বিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিষদের উদ্যোগে এক বিদায় সংবর্ধনাসভা গত ৩০ জুন, রবিবার বিদ্যালয় শিক্ষক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের কর্মসূচীর মধ্যে ছিল পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, অতিথিদেরকে বরণ, বিদায়ী শিক্ষিকার উদ্দেশ্যে মানপত্র পাঠ, সম্মাননা স্মারক প্রদান এবং স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা সভা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব নূর মোহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার শুরুতে পবিত্র কোরান থেকে তেলোয়াত করেন প্রধান মৌলানা জনাব নুরুল
ইসলাম।
শিক্ষিকা হামিদা বিনতে মাহাবুবের সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারি প্রধান শিক্ষক জনাব মুহাম্মদ মতিন।
মানপত্র পাঠ করেন শিক্ষক শাহিন আলম। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক ও সংগঠক মো: নুরুল আলম। প্রধান বক্তা ছিলেন শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক জনাব শাহজাহান আজাদ।
শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সর্বজনাব রণজিত কুমার দে, মিতা বড়ুয়া, বিজন চক্রবর্তী, আব্দুল আজিজ, কামাল উদ্দিন, পারভিন আক্তার, জনি ভট্টাচার্য্য, আব্দুল্লাহ আল হারুন, রাসেল বড়ুয়া, পলাশ কান্তি দাশ, মৃদুল পাল, রোকেয়া সিদ্দিকা, কামরুল ইসলাম, মনজুর উদ্দিন, নাছরিন আক্তার, পার্শ্ব নাথ চৌধুরী প্রমুখ। কর্মচারীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন আবু জাফর চৌধুরী, কাজী আবুল কালাম, নির্মল মালি, মোহাম্মদ ইব্রাহিম প্রমুখ।
সবাই বক্তারা লক্ষ্মী রাণী ভট্টাচার্য্যরে কর্মময় জীবনের সাফল্যের কথা উল্লেখ্য করে বলেন, তিনি এই বিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক অভিভাবক সবার কাছে শ্রদ্ধা ও সম্মান পেয়েছেন। উল্লেখ্য,তিনি ১৯৮৬ সনের ০২ সেপ্টেম্বর থেকে দীর্ঘ প্রায় ৩৩ বছর একাধারে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে আসছিলেন। তিনি একজন সফল গৃহিণী এবং রত্নগর্ভা মা ও তাঁর অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী দেশ বিদেশে বিভিন্ন পদে নিয়োজিত আছেন।
সভায় প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক মোঃ নুরুল আলম বলেন, শিক্ষকদের পরিচয় সব সময়ই শিক্ষক থাকে। শিক্ষকরা সর্বক্ষেত্রেই পূজনীয় থাকেন সবার কাছে। শিক্ষকরা নিজেদের কর্মদক্ষতা ও যোগ্যতা দিয়ে শিক্ষার্থীদের অন্ধকার থেকে বের করে আলোর পথে নিয়ে আসেন। যার ফলে আমরা পেয়ে থাকি সুন্দর জীবন। শিক্ষকরাই সকলের পথ প্রদর্শক। শিক্ষকদের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণের ফলেই আমরা আজ যে যাঁর অবস্থানে আসতে পেরেছি, তা না হলে সম্ভব হতনা।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষকতা এক মহান পেশা। বিদায়ী শিক্ষিকা লক্ষ্মী রাণী ভট্টাচার্য্য ম্যাডাম শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের পাশাপাশি বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের শিক্ষক প্রতিনিধি ও বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজের দায়িত্ব সুনাম ও দক্ষতার সাথে পালন করেছেন। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার মান উন্নয়নে শিক্ষিকা লক্ষ্মী রাণী ভট্টাচার্য্যরে অবদান গ্রামবাসী সব সময়ই শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবেন। আমি মিসেস লক্ষ্মী রাণী ভট্টাচার্য্যরে ম্যাডামের সুখী ও সুস্থ জীবন কামনা করি।
সভা শেষে শিক্ষক পরিষদ ও বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিদায়ী অতিথির হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট, মানপত্র ও উপহার সামগ্রী তুলে দেয়া হয়।