আজ ২২শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মোঃ আবুল কাশেম
জেলা প্রতিনিধি ভোলা:
ভোলা জেলার বর্ষার প্রাকৃতিক সদাচার পুঁজি করে সরকারের নিকট রাষ্ট্র সম্পদ চাঁদাবাজি করার তৎপরতা শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রের নিকট ত্রান সামগ্রী চাঁদাবাজি করার জন্য ভোলা জেলায় মাইক্রোবাস ও পালসার হোন্ডা দিয়ে বন্যা পরিস্থিতির নামে প্রতিবেদন তৈরি করা শুরু হয়েছে।
আর জলের উচ্ছ্বাস নামে বন্যার কথা প্রকাশ করার চেষ্টা চলছে। সরকারী টাকা লুটপাট প্রেমীরা মানুষের ঘরবাড়ি নষ্ট হওয়ার কথা বলে, মানুষের মাছের ঘেরের মাছ চলে যাওয়ার কথা বলে, ক্ষেতের ফসল তলিয়ে যাওয়ার কথা বলে, গরু বাছুর পানিতে ভিজে যাওয়ার কথা বলে ভোলা জেলায় ত্রান সামগ্রী চাঁদাবাজি করার প্রস্তুতি নিয়েছে। সরকারী সাহায্য চাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যাতে করে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সাহায্য নিজরা আত্মসাৎ করতে পারে।
এহেন কাজে দামী দামী মোটর সাইকেল ও দামী দামী মাইক্রোবাস দিয়ে ঘোরাফেরা করে সরকারী সাহায্যের কথা বলছে। কিন্তু কেউ-ই ঐ দামী দামী গাড়িগুলো, মোটর সাইকেলগুলো সাহায্য দেওয়ার উদ্যোগ নেয় নাই। ত্রান হিসেবে দেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহন করে নাই। শুধূ এগুলো ব্যবহার করে কিভাবে সরকারী টাকা বরাদ্ধ করিয়ে নিজেরা আত্মসাৎ করতে পারে সেই ব্যাপারে তৎপরতা চালাচ্ছে।
জোয়ারের পানির উচ্চতা বাড়ার কথা বলে সন্ত্রাসবাদী দুরন্ত নিউজ সহ ভোলা জেলার অনলাইন সাংবাদিকদের সমিতিগুলোর লোকজন মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে দেশ, জাতি, সমাজ, প্রশাসন, অপ্রশাসনকে দূর্নীতিবাদী ও সন্ত্রাসবাদী কাজে নিয়োজিত করার তৎপরতা করছে। ভোলা জেলার বিভিন্ন অনলাইন, ফেইসবুক, মিডিয়া – বন্যা, বাদল, জলের উচ্ছ্বাস ইত্যাদির প্রবলতার বাড়তি ও অতিরিক্ত কথা বলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় ত্রানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে সরকারি ত্রান সামগ্রী চাঁদাবাজির ধান্দা করছে।
রাস্তা-ঘাট ডুবে যাওয়ার কথা বলে আসন্ন অর্থ বছরের অর্থ থেকেও রাস্তা-ঘাট এর নামে বরাদ্ধ করার পর তা লুটপাটের উদ্দেশ্যে সরকারী টাকা মেরে দেওয়ার পথ প্রশস্ত করছে। সন্ত্রাসবাদী ভোলা জেলার লোকেরা ভোলা সদর উপজেলায়, দৌলতখান উপজেলায়, বোরহানউদ্দিন উপজেলায়, লালমোহন উপজেলায়, তজুমদ্দিন উপজেলায়, চরফ্যাশন উপজেলায় ও মনপুরা উপজেলায় সরকারী ফান্ডের টাকা মারার বিভিন্ন ফাঁদ ও ফন্দি করে রেখেছে।
বেড়ীর ঢালের বস্তির কথা বলে, পানি বন্দী লোকের কথা বলে, চরের বাসিন্দাদের কথা বলে সরকারী টাকা ভোলা জেলায় এনে তা মেরে দেওয়ার ফন্দি করে রেখেছে। সেই ফন্দি অনুযায়ী প্রাকৃতিক এই বর্ষার মৌসুমে বন্যা ও দূর্যৌগের রিপোর্ট করে সরকারী টাকা মারার, লুটপাট করার ও বরাদ্ধ আত্মসাৎ করার পথ ব্যাপক প্রশস্ত করার প্রস্তুতি চলছে।
এখন বর্ষাকাল বৃষ্টি হবে, ঝড় হবে, তুফান হবে, জল হবে, জোয়ার হবে, জলের উচ্ছ্বাস হবে, বাতাস হবে, বিভিন্ন আকারের বর্ষন হবে – এটাই স্বাভাবিক। বর্ষাকালে প্রকৃতির এগুলোই থাকে ধর্ম। আর সেগুলোকে মোকাবেলা করেই বাংলাদেশের মানুষ তথা ভোলা জেলার মানুষ ঝড় জল বন্যা বাতাস আবাদী শক্তি জোগানো জীবন যাপনে নিয়োজিত আছে। এখানে সরকারী টাকা ও সম্পদ লোপাটকারীদেরকে কোন তৎপরতা করতে দেওয়া ঠিক নয়।
ত্রান সামগ্রী দাবীকারীদেরকে কোন প্রশ্রয় দেওয়া ঠিক নয়। ভোলা জেলার জন্য সরকারী সাহায্য টাকা-পয়সা বরাদ্ধ করার জন্য প্রশাসনে অপ্রশাসনে বিদ্যমান সকল এলাকা প্রেমীদেরকে হাজতবন্দী ও জেলবন্দী করা প্রয়োজন। নচেৎ বাংলাদেশ এর ভোলা জেলা থেকে দূর্নীতি, সন্ত্রাস ও অসভ্যতা দূর হবে না। তাই ভোলা জেলার বর্ষার প্রাকৃতিক সদাচার পুঁজি করে রাষ্ট্র সম্পদ চাঁদাবাজি করার তৎপরতা বন্ধ করা প্রয়োজন।
তবে গত দুই তিন দিনে ভোলা জেলায় বর্ষার দ্বারা অস্বাভাবিক কিছুই ঘটে নাই। ছবিতে বৃষ্টি ও বর্ষার পানিতে গ্রামের মানুষের গৃহপালিত হাঁস ও হাঁসীদেরকে আনন্দ করতে দেখা গেছে। গ্রামের বাড়ি ঘরের স্বাভাবিক গাছগাছড়ার গোড়াও পুরোপুরি ডুবে যেতে দেখা যায় নাই। ছবিতেই বর্ষার রাস্তা দেখেই প্রমানিত যে, পানিতে ভিজে গেছে কিন্তু ডোবে নাই।