আজ ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এমএহামিদঃ
আজ ২৯এপ্রিল সোমবার ভোর ৩টা ৪৫ মিনিটে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার উত্তর আমিরাবাদ এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে র্যাব জানান।
নিহত ব্যক্তির বিরুদ্বে দক্ষিণ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় ‘হাত-পা বেঁধে নিজ বাড়ীতে জোরপূর্বক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের’ মামলার আসামি কোচিং সেন্টারের মালিক বলে জানা যায়।
‘র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) দাবি করেন বন্দুকযুদ্বে
আজ সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার উত্তর আমিরাবাদ এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেছেন র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের সহকারী পরিচালক ও সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. মাশকুর রহমান।
সূত্রে জানা যায়,নিহত ব্যক্তির নাম সাইফুল ইসলাম। তিনি উপজেলার উত্তর আমিরাবাদ এলাকার পূর্ব মুহুরীপাড়ার বাসিন্দা। গত ১৫ এপ্রিল উপজেলার এক স্কুলছাত্রীকে ছাত্রীর নিজ বাড়ীতে সবার অনুপস্থিতিতে ধর্ষণ করেন।
ধর্ষণের অভিযোগ এনে ধর্ষীতার মা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে,উক্ত দায়ের করা মামলায় সাইফুল ইসলাম আসামি ছিলেন। তিনি সৃজনশীল কোচিং সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক ছিলেন। পাশাপাশি তিনি নিজেও সেখানে পড়াতেন।
লোহাগাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জহির উদ্দিন সকালে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভোরে র্যাবের একটি দল ধর্ষণ মামলার আসামি সাইফুলকে আটক করতে অভিযান চালায়। তখন র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সাইফুল নিহত হন।
ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি পাইপগান, ২৪টি কার্তুজ উদ্ধার করেছে বলে র্যাব পুলিশকে জানিয়েছে। আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি।’
মামলার এজাহারে ওই স্কুলছাত্রীর মা ‘ধর্ষণের’ ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, গত ১১ এপ্রিল আমি বিশেষ কাজে আমার বড় মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে যাই,গত১২এপ্রিল ধর্ষক ফোন করে জানতে চাই আমি কোথায়, মেয়ের বাড়ীতে জানানো পর ।
এরপর সাইফুল আমাদের ঘরে এসে আমার মেয়েকে একা পেয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে। এ সময় আমার মেয়ের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে সাইফুল পালিয়ে যান।
পরে মেয়েকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়,’ অভিযোগ করা হয় মামলায়।
স্কুলছাত্রীর মা আরো বলেন, ‘দীর্ঘ এক সাপ্তাহ চিকিৎসার পর ১৮ এপ্রিল আমার মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসি। এরই মধ্যে ১৫ এপ্রিল ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের সহযোগিতায় লোহাগাড়া থানায় মামলা করি। পরে জানতে পারি বিদেশে পালিয়ে যাচ্ছে, বিষয়টি গণমাধ্যম অাসার পর পালিয়ে যেতে পারেনি। এতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল মামলা নামানোর জন্য।