আজ ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বর্তমান উন্নত ও উন্নয়নশীল বহির্বিশ্বেরর সাথে তাল এগিয়ে যাচ্ছে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। বাড়ছে লেনদেন। ব্যবসা বাণিজ্যের জগতে নগদ লেনদেনের চেয়ে চেকের মাধ্যমে লেনদেন অনেক সহজতর এবং এটি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তাই চেকের ব্যবহার এবং এই চেক সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতারণার শিকার হলে এর আইনি প্রতিকার কিভাবে পাব সে বিষয়ে আমাদের জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
টাকা পরিসোধের নিমিত্তে কোন ব্যক্তি অন্য কোন লোককে চেক প্রদান করার পর প্রাপক যদি উক্ত চেকটি যথাসময়ে ব্যাংকে গিয়ে নগদায়ন করতে ব্যর্থ হন অর্থাৎ চেকটি যদি ডিজঅনার বা অমর্যাদা হয় – এটি দেশে প্রচলিত দ্যা নেগোশিয়েবল ইন্স্ট্রুমেন্ট এ্যাক্টের ১৩৮ ধারা মোতাবেক একটি অপরাধ। এই ধারা অনুযায়ী দোষী ব্যক্তি চেকে বর্ণিত টাকার ৩ গুণ পর্যন্ত অর্থদন্ড বা ১ বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। তবে এ প্রতিকার পেতে হলে চেকের প্রাপক/ গ্রহণকারীকে আইনের কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম পালন করতে হবে। তার মধ্যে অন্যতম হল চেক ডিজঅনার হওয়ার পর ৩০ দিনের মধ্যে চেক প্রদানকারীকে টাকা দাবী করে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করা। নোটিশ দেওয়ার পর চেক প্রদানকারীকে ৩০ দিন সময় দিতে হবে। ৩০ দিন সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও টাকা পরিসোধ না করলে তখন বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করতে হবে।
নগদ লেনদেনে যেহেতু বিভিন্ন রকমের ঝুঁকি রয়েছে, তাই চেকের মাধ্যমে লেনদেনকে উৎসাহিত করার লক্ষে এবং চেক প্রতারণার শিকার ভিকটিমকে সহজে এবং দ্রুত প্রতিকার দেওয়ার উদ্দেশে এই আইনটি করা হয়েছে।
এম. সাদ্দাম হোসেন নীরব
এডভোকেট, জজকোর্ট, চট্টগ্রাম ও
লেকচারার- পটিয়া আইন কলেজ।