আজ ২২শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শাহাদাৎ হোসেন (সোহাগ)খাগড়াছড়ি, দীঘিনালা:আওয়ামী লীগের জেলা সভাপতি ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা কে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় প্রতিমন্ত্রী করায় খাগড়াছড়ি জেলা বাসির গৌরব প্রকাশ । এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রিত্ব পাওয়া ৩০০ নং বান্দরবান আসন থেকে ৭ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈসিং মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পরায় হতাশ বান্দরবান জেলার নেতাকর্মীরা।
দীঘিনালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাশেম বলেন, আমরা খাগড়াছড়ি জেলা দীঘিনালা উপজেলা একটি ডিজিটাল রূপ ধারণ করিয়াছি তবে এবার আমরা প্রতিমন্ত্রী পেয়েছি তাই স্মার্ট দীঘিনালা উপজেলা উপহার দেবো দীঘিনালা বাসিকে।
তবে পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ণমন্ত্রী না দেওয়া হলেও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে ২৯৮ নং খাগড়াছড়ি আসনের টানা তিনবারের সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে। জাতীয় সংসদে ফোন পেয়ে তিনি নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে খাগড়াছড়ির সকল উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শুভেচ্ছা অভিনন্দন জানান এবং সাধারণ জনগণের মাঝে দেখা যায় আনন্দের বহর।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন জানা গেছে, তাকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দ্বায়িত্বই দেওয়া হয়েছে । ২০১৪ সাল থেকে টানা তিনবার এ আসনে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া গত ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ইং তাকে ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান করা হয়।
এই চেয়ারম্যান পদটি প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা সম্পন্ন। এর আগে তিনি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের “চেয়ারম্যান” হিসাবে ২০১০ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত দ্বায়িত্ব পালন করেছিলেন। এদিকে খাগড়াছড়ি থেকে টানা তিন মেয়াদে নির্বাচিত সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা প্রতিমন্ত্রীর ডাক পাওয়ার জেলাজুড়ে আনন্দের সুবাতাস বইছে। গতকাল রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দন জানিয়ে শুভেচ্ছা বার্তা দিচ্ছেন রাজনৈতিক নেতাকর্মীর পাশাপাশি নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। সেইসাথে বিভিন্ন এলাকায় আতসবাজি ফুটিয়ে আনন্দ উদযাপন করতেও দেখা গেছে।
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞ, তিনি আমাকে আরও বৃহত্তর পরিসরে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শান্তি চুক্তিসহ আরও অনেক কিছু করে দিয়েছেন। নিশ্চয়ই এটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে একটা সুযোগ তিনি করে দিয়েছেন, সেজন্য আমি আনন্দিত। তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি চুক্তির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। এর মধ্যে অনেকগুলো বাস্তবায়ন হয়েছে, বাকি যেগুলো হয়নি বা চলমান সেগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই আমি ভূমিকা রাখব। পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্প্রীতি- উন্নয়নের যে ধারা, সেটি অব্যাহত রাখার জন্য আমি সর্বদা কাজ করব।