আজ ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নিজস্বপ্রতিনিধি : চলতি সপ্তাহেই চন্দনাইশ উপজেলা বিএনপি ও চন্দনাইশ পৌরসভা,
দোহাজারী পৌরসভা কমিটি প্রকাশ হতে যাচ্ছে চলতি সপ্তাহে। দীর্ঘদিন এক যুগের পর চন্দনাইশ উপজেলা বিএনপিকে এক করতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আহবায়ক কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পর সু-সংগঠিত হতে যাচ্ছে বিএনপি, যা বিভিন্ন বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
চলতি মাসের এ সপ্তাহে উপজেলা ও চন্দনাইশ পৌরসভা,নবগঠিত দোহাজারী পৌরসভা কমিটি প্রকাশ হতে পারে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানা যায় । গত ২০০৬ সালে ২৬ অক্টোবর কর্ণেল অলি বিএনপি থেকে বেরিয়ে এলডিপি গঠন করার পর চন্দনাইশে বিএনপি কবর রচনা হয়েছে যা জনসম্মুখে কর্ণেল অলি ঘোষনা দেন। কিন্তুু যারা মনেপ্রাণে জাতীয়তাবাদী কে ভালোবেসে বিএনপি থেকে চলে যায়নি তারা বিএনপিতে থাকলো কিছুটা সাংগঠনিকভাবে পিছিয়ে পড়ে চন্দনাইশ বিএনপি । এতে বিএনপিতে যোগ দেওয়া ড.প্রফেসর মহসিন জিল্লুর করিম চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সহ-সভাপতি হওয়ার পর দলের দায়িত্ব নেন, চন্দনাইশ অংশিক সাতকানিয়া নিবার্চনীয় এলাকা। বিএনপি কিছু ত্যাগী নেতা তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় পরবর্তীতে দলকে সু-সংগঠিত করেন তিনি । তিনি পড়ামহলায় মিটিং ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প, বন্যা কবিলত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ, সহ খোঁজখবর সহ সহযোগীতার হাত বাড়িয়েদেন।
কিন্তুু বিভিন্ন মামলা হামলা দমন পীড়নের কারণে প্রকাশ্যে মিটিং মিছিল, সভা সমাবেশ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন বিভিন্ন সময় করতে না পারলেও গোপনে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে নেন দলের নেতৃবৃন্দ । দলকে সু-সংগঠিত রাখতে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার পর ডা. মহসিন জিল্লুর করিম, মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি এড. মিজানুল হক চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতৃবৃন্দ নেতাকর্মীদের অর্থ ও সাহস দিয়ে বিএনপি সাংগঠনকে ধরে রেখেছেন।
অন্যদিকে চন্দনাইশে কেন্দ্রীয় নেতা মহানগর সভাপতি সাবেক সংসদসদস্য প্রার্থী মিজান এর অনুসারীরা যার যার মত করে দলিও প্রোগ্রাম পালন করে। এতে সঠিক নেতৃত্ব অভাবে কিছুটা ভাটা পড়েছিল বিএনপি সহ সহযোগী অঙ্গসংগঠন।
গত অক্টোবর মাসে দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে আহবায়ক কমিটি গঠন করার পর জেলার সকল উপজেলা ও পৌরসভা কমিটি ভেঙ্গে দেয়া হয়। এতে নতুন করে কমিটি করার প্রক্রিয়া শুরু হলে চন্দনাইশ বিএনপি ড. মহসিন, ড.শাহাদাত, এড.মিজান নেতৃত্বাধীন বিএনপি ৩ ধারায় বিভক্ত হয়ে উপজেলা ও পৌরসভায় একাধিক কমিটি জমা দিয়েছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়।
বিশেষ সূত্রে জানা যায়, খুব শীঘ্রই উপজেলা ও পৌরসভার আহবায়ক কমিটি ঘোষণা হওয়ার আবাস দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। চন্দনাইশ উপজেলা বিএনপিতে ৩টি, পৌরসভা বিএনপিতে ৪টি পৃথক পৃথকভাবে কমিটি জমা হয়েছে বলেও একাদিক সূত্রে জানা যায়। কমিটিগুলো হচ্ছে উপজেলা পর্যায়ে, সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আনোয়ার চৌধুরী- শহিদুল আলম, মোক্তার আহমেদ- সালাহ উদ্দীন, সিরাজুল ইসলাম- মো. বেলাল উদ্দীন, পৌরসভা কমিটির মধ্যে মাহমুদুর রহমান মাদু- মো. মাহবুব চৌধুরী, ইউনুছ গণি বাবুল- মো. ইফতেখার, মোর্শেদুল আলম- ইফতেখারসহ একাধিক কমিটি জমা হয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। দোহাজারী পৌর সভা কমিটি কামাল হোসেইন – বাবুখান,নুরুমোহাম্মদ কমিটি জমা দিয়েছে। জমাকৃত নেতৃবৃন্দের মধ্যে যোগ্য, মেধাবী, ত্যাগী, পরিশ্রমী, পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদদের মধ্যে থেকে যাচাই-বাচাইয়ের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করে পৃথক পৃথক উপজেলা ও পৌরসভার আহবায়ক কমিটি ঘোষণা হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।
উক্তখবরে জিম্মিয়ে পড়া বিএনপি নেতৃত্ব দৌড়যাপও দেখা যাচ্ছে। রিতিমত নিজ নিজ নেতার কাছে হাজিরা দিচ্ছে পদপ্রত্যাশী নেতৃবৃন্দ।